tag:blogger.com,1999:blog-3671395147616334562024-03-19T09:49:42.026+06:00OurislamBD.Com - সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন প্রতিক্ষণসত্যের সন্ধানে প্রতিদিন প্রতিক্ষণM.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.comBlogger136125tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-5553031113165915552023-03-31T16:45:00.003+06:002023-03-31T16:45:40.719+06:00 আল্লাহ কি সত্যিই আমাদের ভালোবাসেন
<p style="text-align: center;"><b></b></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><b><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiKuK9Dh1o9tJxKrTsIHqTtnP56FIkBgH0Vj46nGUM40118Las_MBb65O0V_DXb9lRd9g8w2uFau3gCmYUcEZfkRgQzwlft-kM2pjsl53MsJhwIxtZPNSWjcPqdhsHAPCkm9wn2ttJiiF7c5pPlsvK-ne9THZZvU0d8nuhXGBEcKR7W7BOk82x2_0DHNw/s2048/ourislambd-%20%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%20%E0%A6%95%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BF%E0%A6%87%20%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="আল্লাহ কি সত্যিই আমাদের ভালোবাসেন" border="0" data-original-height="1437" data-original-width="2048" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiKuK9Dh1o9tJxKrTsIHqTtnP56FIkBgH0Vj46nGUM40118Las_MBb65O0V_DXb9lRd9g8w2uFau3gCmYUcEZfkRgQzwlft-kM2pjsl53MsJhwIxtZPNSWjcPqdhsHAPCkm9wn2ttJiiF7c5pPlsvK-ne9THZZvU0d8nuhXGBEcKR7W7BOk82x2_0DHNw/s16000/ourislambd-%20%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%20%E0%A6%95%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BF%E0%A6%87%20%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0.jpg" title="আল্লাহ কি সত্যিই আমাদের ভালোবাসেন" /></a></b></div><b><br /></b><p></p><p style="text-align: center;"><b><span style="font-size: medium;"> "আল্লাহ কি সত্যিই আমাদের ভালোবাসেন"</span></b></p>শাইখ আলী তানতাবী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, 'একবার আমার জানতে ইচ্ছা হলো, আল্লাহ কি সত্যিই আমাকে ভালোবাসেন? আগ্রহ ও কৌতূহল এ জায়গা থেকে আমি এর উত্তর পেতে চাইলাম কুরআন থেকে। কুরআন খুলে দেখতে লাগলাম যে,আল্লাহ কাদের ভালোবাসেন? কী তাদের বৈশিষ্ট্য?<div><br />আমি কুরআন খুলে দেখলাম, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা নেককারদের ভালোবাসেন। ভাবলাম, 'আমি কি নেককার বান্দা? মনে হলো, না। তাহলে তো আমি এই তালিকা থেকে বাদ পরলাম ।</div><div><br />তারপর দেখলাম, আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন, কিন্তু নিজেকে খুব বেশি ধৈর্যশীল বলে মনে হলো না আমার। ফলে এ তালিকা থেকে বাদ পড়ে গেলাম।</div><div><br />এরপর দেখলাম আল্লাহ মুজাহিদদের ভালবাসেন, যারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে; কিন্তু আমার মতন অলস আর অক্ষম ব্যক্তি এই তালিকায় ওঠার কথা ভাবতেও পারি না। ফলে এখান থেকে ছিটকে গেলাম।</div><div><br />তারপর দেখলাম, আল্লাহ তাদের ভালবাসেন, যারা সৎ কাজে এগিয়ে; কিন্তু নিজের আমল, আর আখলাকের দৈন্যদশা দেখে এই তালিকাতেও নিজেকে ভাবা গেল না।</div><div><br />একপ্রকার হতাশার গ্লানিবোধ নিয়েই আমি কুরআন বন্ধ করে ফেলি। নিজের আমল, তাকওয়া আর ইখলাসের দিকে তাকিয়ে আমি তাতে রাজ্যের ভুল-ভ্রান্তি ছাড়া আর কিছুই খুঁজে পেলাম না। কিন্তু একটু পরেই আমার মনে হলো, 'হ্যাঁ, আল্লাহ তো তাদেরও ভালবাসেন যারা তওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।</div><div><br />মনে হলো, এই একটা বৈশিষ্ট্যই বুঝি আমার জন্য মজুদ আছে এবং আমি তা যখন-তখন নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারি। আমি খুব বেশি পরিমাণ ইস্তেগফার পড়তে থাকি,যাতে করে আমি আল্লাহর সেসব বান্দাদের তালিকাভুক্ত হতে পারি,যারা অধিক পরিমাণে তওবা করে এবং যাদের আল্লাহ ভালোও বাসেন।</div><div><br />আমরা হয়তো-বা নেককার হতে পারলাম না,আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদ হওয়ার সৌভাগ্য হয়তো আমাদের কপালে নেই। অনুপম ধৈর্য্যের অধিকারী কিংবা যারা বেশি ভালো কাজে অগ্রগামী তাদের দলভুক্ত হয়তো হতে পারলাম না; কিন্তু তাই বলে কি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার ভালোবাসার তালিকা থেকে একেবারে বাদ পড়ে যাবো? কখনোই নয়।আল্লাহ প্রিয়ভাজন হওয়ার একটা রাস্তা সদা-সর্বদা খোলা রয়েছে আমাদের জন্য। আর সেই রাস্তা হলো- তাওবার রাস্তা অধিক পরিমাণে তওবা করা। আল্লাহর কাছে নিজের পাপ নিজের ভুল, নিজের অবাধ্যতার জন্য কায়মনোবাক্যে ক্ষমা চাওয়া।</div><div><br />ভুল করেও ভুলের উপর স্থির থাকা এবং সেই ভুলকে যুক্তি-তর্ক দিয়ে জায়েজ বানানোর চেষ্টা করাটা শয়তানের বৈশিষ্ট্য।</div><div><br />অপরদিকে ভুল করার পর তা বুঝতে পারা, তার জন্য অনুতপ্ত হওয়া,তা থেকে বিরত হওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া একটা সতেজ, সুন্দর এবং সবুজ অন্তরের প্রমান বহন করে। নিজেদের কৃত ভুল বুঝতে পেরে, তার জন্য অনুতপ্ত হয়ে, গভীর অনুশোচনাসহ আল্লাহর কাছে করজোড়ে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া।</div><div> <br />ভুল হয়ে গেলে তা নিয়ে অন্তর পেরেশানি দেখা দেওয়াটা তাকওয়ার লক্ষণ।<br />তাই কখনো ভুল হয়ে গেলে,কখনও পাপ কাজ হয়ে গেলে, তার জন্য অনুশোচনা করা, কিছু সদকা করা,নফল সালাতে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে পারলে অবশ্যই আল্লাহ ক্ষমা করবেন।<br />আর এভাবে করেই আল্লাহর কাছ পর্যন্ত পৌঁছা যাবে ইনশাআল্লাহ</div><div><br /><div style="text-align: center;"><b>(এবার ভিন্ন কিছু হোক আরিফ আজাদ ভাইয়ের লেখা বই থেকে)</b></div></div>M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-58851541331341594862023-03-29T09:18:00.002+06:002023-03-29T09:18:23.384+06:00শুনুন; আপনি বলেছিলেন, এই সেই রমাদান।<div style="text-align: center;"><b>শুনুন; আপনি বলেছিলেন,</b></div><div style="text-align: center;"><b>রমাদান হতে সময়মত পাঁচ ওয়াক্তের সালাত পড়বেন- এই সেই রমাদান।</b></div><div style="text-align: center;"><b><br /></b></div><div style="text-align: center;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi8WH0RyxwtKOXf8lTX_wFh4-qwQ0raguaXAmFIYFP-9kK9XycqnPAxevDj9itc797smFNNMaNr7vC3lN0kaLxsmHQpuGcm6b_Rt0hgPeTrPJy5sc36XPOeNmzvhD9xgg4_dlcoRr_cHec3GpjQaZEM4hp10jWILO-0gdXQGZd5iv7AHuFenDZV6SIVOQ/s3464/ourislambd-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%A8;%20%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BF%20%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="শুনুন; আপনি বলেছিলেন, এই সেই রমাদান।" border="0" data-original-height="2261" data-original-width="3464" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi8WH0RyxwtKOXf8lTX_wFh4-qwQ0raguaXAmFIYFP-9kK9XycqnPAxevDj9itc797smFNNMaNr7vC3lN0kaLxsmHQpuGcm6b_Rt0hgPeTrPJy5sc36XPOeNmzvhD9xgg4_dlcoRr_cHec3GpjQaZEM4hp10jWILO-0gdXQGZd5iv7AHuFenDZV6SIVOQ/s16000/ourislambd-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%A8;%20%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BF%20%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8.jpg" title="শুনুন; আপনি বলেছিলেন, এই সেই রমাদান।" /></a></div><br /><b><br /></b></div><div style="text-align: center;"><b><br /></b></div><div>রমাদান হতে শুরু করবেন প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াতের জার্নি-এই সেই রমাদান।</div><div>রমাদান হতে সমস্ত হারাম জিনিস দেখা ও মিউজিকসহ হারাম সব কিছু শোনা ছেড়ে দিবেন-এই সেই রমাদান।</div><div>রমাদান হতেই আর কোনো বাজে কথা, গালিগালাজ, গীবত, পরনিন্দা করবেন না-এই সেই রমাদান। </div><div>বলেছিলেন, রমাদানে গুনাহ ছেড়ে দিয়ে ইবাদত আর আমলে নিজের আমলনামা পূর্ণ করবেন-এই সেই রমাদান। </div><div><br /></div><div>আপনি নিজের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন যে, "সামনের রমাদানে ভালো হয়ে যাবো"- দেখুন এই সেই রমাদান। </div><div><br /></div><div>আর মাত্র কয়েকটি ঘন্টা এরপরই আগমন হবে আল্লাহ রাব্বুল আ'লামিনের দেয়া অফুরন্ত নিয়ামতের মাস, পবিত্র রমাদান। যার ছোঁয়ায় বিশুদ্ধ হয়ে ওঠে সহস্র কোটি পাপী অন্তর। </div><div><br /></div><div>অলসতা করবেন না। নফসের সামান্যতম ধোঁকায় পড়বেন না। "কাল থেকে ভালো হয়ে যাবো" আর বলবেন না। কারণ রমাদানের যেকোনো একটি দিন যদি আপনি হারিয়ে ফেলেন তাহলে তা আর ফিরে পাবেন না। 'কাল' আপনার নসীবে নাও আসতে পারে। </div><div><br /></div><div>আবু মুসলিম আল খাওলানি ছিলেন তাবেয়ীনদের একজন, সাহাবিদের পরের প্রজন্ম। <b>রাসূলুল্লাহকে ﷺ</b> দেখার জন্য তিনি খুব আকুল ছিলেন। তিনি যখন <b>রাসূলুল্লাহকে ﷺ</b> দেখার জন্য ইয়েমেন থেকে মদীনার দিকে গেলেন, সেখানে পৌছাঁনোর আগেই <b>রাসূলুল্লাহ র ﷺ</b> ইন্তেকাল হয়ে গেল। অল্পের জন্য তিনি সাহাবি হতে পারলেন না। সাহাবি হতে না পারার দুঃখে তিনি সাহাবিদের বলে ওঠেন, "আপনারা মনে করেছেন আমাদের হারিয়ে দেবেন? আল্লাহর কসম! আমরা আপনাদের সাথে প্রতিযোগিতা করব এবং আপনাদের পরাজিত করব।" খুব শক্তিশালী কিছু কথা। আমাদেরও এমন মানসিকতা থাকা উচিত। যদি আমরা তাঁদের পর্যায়ে পৌঁছাতে চাই, জান্নাতে তাঁদের প্রতিবেশী হতে চাই-তবে আমাদের উচিত সালাফদের সাথে প্রতিযোগিতা করা।(১)</div><div><br /></div><div>অবাক করা বিষয় হচ্ছে, দুনিয়াবি বিষয়ে আপনি নিজেকে বেশ স্ট্রং ভাবেন, যতধরণের প্রেশার আছে তা নিয়েই দুনিয়াবি লক্ষ্যের দিকে সবার সাথে প্রতিযোগিতামূলকভাবে এগুতে থাকেন। অথচ সেই আপনিই রমাদানের ইবাদতে, আল্লাহর সান্নিধ্যে অগ্রগামী হওয়ার ক্ষেত্রে হয়ে যান সবচাইতে দূর্বল ব্যক্তি!</div><div><br /></div><div>অতএব উঠুন, তাওবাহ করুন। আপনার ঈমান দূর্বল হোক বা সবল, আপনি ভালো মুসলিম হোন বা খারাপ মুসলিম রবের সামনে নিজের অন্তরটা নিয়ে দাঁড়ান। ফরিয়াদ করুন, মাফ চান, সাহায্য চান। রমাদানের মূল্যবান সুযোগগুলো অবহেলা করবেন না। আপনার, আমার, আমাদের সবার ভালো হয়ে যাওয়ার প্রতীক্ষিত রমাদান আমাদের সামনেই। মনে রাখবেন, ভালো হয়ে যাওয়ার এই সুযোগ পরবর্তীতে আপনি নাও পেতে পারেন। </div><div><br /></div><div><b>তথ্যসূত্রঃ </b></div><div><b>১। ধূলিমলিন উপহার রামাদান, পৃষ্ঠা: ৫৫</b></div>M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-72360638422592729662023-03-28T11:44:00.002+06:002023-03-28T11:44:58.838+06:00খুব খুশি হলে আমরা কি করি??<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgohaze2e9WGWK7LKK50jwss__HgBsEyKg_N9dleJYJHrhbvq6ral5Kcr6DABoJRKaol6DsE2-h9VhMOyOqj-rLeYsd8cAtvaZ2qL24y5FT1jhJNMfzQ3xMhVqlfH8YLoUbm86X37qF6aQqfWUjzpGBsNgXGxY__9CcHgMXH7jJzmKFDPTR078HWouNxQ/s3464/ourislambd-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%AC%20%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%BF%20%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="খুব খুশি হলে আমরা কি করি??" border="0" data-original-height="2107" data-original-width="3464" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgohaze2e9WGWK7LKK50jwss__HgBsEyKg_N9dleJYJHrhbvq6ral5Kcr6DABoJRKaol6DsE2-h9VhMOyOqj-rLeYsd8cAtvaZ2qL24y5FT1jhJNMfzQ3xMhVqlfH8YLoUbm86X37qF6aQqfWUjzpGBsNgXGxY__9CcHgMXH7jJzmKFDPTR078HWouNxQ/s16000/ourislambd-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%AC%20%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%BF%20%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87.jpg" title="খুব খুশি হলে আমরা কি করি??" /></a></div><br /><div><br /></div><div>"খুব খুশি হলে আমরা কি করি?? "</div><div><br /></div><div>জোরে দৌড় দিয়ে শূন্যে ঝাঁপ দিই। শূন্যে থাকা অবস্থাতেই বাতাসে ঘুসি দিই। কিংবা আকর্ণ বিস্তীর্ণ হাসি দিয়ে ভি-সাইন দেখাই।</div><div><br /></div><div>রাসূল (সাঃ) খুশি হলে কি করতেন জানেন? অনেকটা আমরা যা করি তার উল্টোটাই করতেন।</div><div><br /></div><div>আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, ""রাসূল (সাঃ) যখন খুব খুশি হতেন কিংবা কোনো আনন্দের সংবাদ শুনতেন, তখন সিজদায় লুটিয়ে পড়তেন <b>""(সুনানে আবু দাউদ, ২৭৭৪)</b></div><div><br /></div><div>ইবনুল কায়্যিম (রাঃ) বলেন, ""রাসূল (সাঃ) এবং তাঁর সাহাবারা যখন কোনো আনন্দের সংবাদ পেতেন কিংবা তাঁদের কাছ থেকে কোনো কষ্ট দূর হয়ে যেত,, তাঁরা সিজদায় লুটিয়ে পড়তেন। <b>""(মুখতাসার যাদুল মা'আদ ১/২৭)</b></div><div><br /></div><div>আমাদের সবার জীবনেই এমন খুশির সংবাদ আসে। একটা পরীক্ষায় ফেইল করা নিয়ে আমরা টেনশনে থাকি, তারপর দেখা যায় বেশ ভালোমতোই সে পরীক্ষায় উতরে গিয়েছি।।</div><div><br /></div><div>অথবা একটি গুনাহ থেকে আপনি বের হতে পারছেন না অনেক চেষ্টা করেও।</div><div><br /></div><div>তারপর আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে আপনাকে সে গুনাহ থেকে মুক্ত করলেন। এখন আপনি নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়তে পারেন। ফজরের সালাত জামাআতের সাথে পড়তে আর সমস্যা হয় না।</div><div><br /></div><div>এমন আনন্দদায়ক মুহূর্ত যখন আল্লাহ তা'আলা আপনার জীবনে নিয়ে আসেন, তখন কী করবেন??</div><div><br /></div><div><b>★সিজদায় লুটিয়ে পড়ুন ★</b></div><div><br /></div><div>কেউ যখন এই সুন্নাহটি পালন করে তখন সে আসলে কী বুঝাতে চাইছে??</div><div><br /></div><div>সে যেন আল্লাহকে বলছে, পৃথিবীর সবাইকে বলছে, নিজেকে নিজেই বলছে,</div><div>"হে আল্লাহ, আমার নিজের ব্যাপারে কোনো ক্ষমতাই ছিল না। আল্লাহ গো, এ জন্যই আমি আমার কপাল মাটিতে বিছিয়ে দিয়েছি। আর কাউকে নয় শুধুই <b>তোমাকে ইয়া রব ""!</b></div>M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-44318137006342775612023-03-24T17:26:00.000+06:002023-03-24T17:26:27.206+06:00ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে কেমোথেরাপি দিলে কি রোজা ভেঙে যাবে?<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh56vEEKAMIYdheqsC7fbzm4dbYzCb0iPUAcVPjw1f8hVL3zwLvO7CqaVtlxRY24QxVRL0QXLBRThi5PyW-l3tobf3A9lR-S3fr-JcsZTFF5xq8tq0nAiHUyqIDsudwaMSSCmm2pXIChIM/s1600/PicsArt_04-30-10.14.31.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="548" data-original-width="719" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh56vEEKAMIYdheqsC7fbzm4dbYzCb0iPUAcVPjw1f8hVL3zwLvO7CqaVtlxRY24QxVRL0QXLBRThi5PyW-l3tobf3A9lR-S3fr-JcsZTFF5xq8tq0nAiHUyqIDsudwaMSSCmm2pXIChIM/s1600/PicsArt_04-30-10.14.31.jpg" /></a></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<br /></div>
<b>প্রশ্ন</b>: ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে কেমোথেরাপি দিলে কি রোজা ভেঙে যাবে? এ ধরণের রোগীদের রোজা রাখার বিধান কি?<br />
<br />
<b>উত্তর</b>: ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে যদি কেমোথেরাপি তথা ক্যান্সারের ঔষধ রোগীর শিরার মাধ্যমে সরাসরি রক্তে দেওয়া হয় তাহলে তাতে ভঙ্গ হয়ে যাবে। কেননা, এতে ওষুধ শিরা-উপশিরার মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং রক্তের সাথে মিশে যায়।<br />
<br />
এ ধরণের রোগীর যদি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে প্রতিটি রোযার বিনিময়ে একজন গরীব-অসহায় মানুষকে একবেলার খাবার দিলেই ফিদিয়া আদায় হয়ে যাবে। আর যদি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে ফিদিয়া দেয়া যাবে না বরং সুস্থ হলে রোযা কাজ করতে হবে।<br />
<br />
উল্লেখ্য যে, অনুরূপভাবে যে স্যালাইন বা ইনজেকশন পুষ্টির বিকল্প হিসেবে দেয়া হয় তাতেও রোযা ভঙ্গ হবে। অর্থাৎ রোগী যদি মুখ দিয়ে খাদ্য গ্রহণ করতে না পারে তখন বিকল্প পন্থা হিসেবে শরীরে স্যালাইন বা ইনজেকশন দেয়া হয়। তাহলে এ প্রক্রিয়াটি ‘খাদ্য গ্রহণ’ হিসেবে গণ্য হবে এবং তাতে রোযা ভঙ্গ হবে।<br />
<br />
অন্যান্য অসুখ-বিসুখে যদি মাংস পেশীতে ইনজেকশন দেয়া হয় তাতে রোযা ভঙ্গ হবে না ইন শা আল্লাহ। (শাইখ সালেহ ফাউযান এর ফতোয়া-সংক্ষিপ্ত) আল্লাহু আলাম।<br />
<br />
<b>লেখাঃ</b> আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলিল (আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন<br />
M.Sohaghttp://www.blogger.com/profile/13957828831765023634noreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-91105575025344649822023-03-24T17:21:00.000+06:002023-03-24T17:21:30.393+06:00 প্রশ্ন : অমুসলিমদেরকে ইফতার বা সাধারণ খাবার খাওয়ানো যাবে কি?<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
</div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiwkJPYN1BER6oJFlk1A7ot3MixnozDKownltskZFy3eCU6BX_iT1G-EMCAq_RJ0W99de3Rop7dHJJ4cMQZWdthWrE-kvpIRNnd_J96R_ddEzVMCZx3trWmgbiyNssu4ObxAhjvVPwrlnM/s1600/PicsArt_05-12-09.37.54.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="563" data-original-width="719" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiwkJPYN1BER6oJFlk1A7ot3MixnozDKownltskZFy3eCU6BX_iT1G-EMCAq_RJ0W99de3Rop7dHJJ4cMQZWdthWrE-kvpIRNnd_J96R_ddEzVMCZx3trWmgbiyNssu4ObxAhjvVPwrlnM/s1600/PicsArt_05-12-09.37.54.jpg" /></a></div>
<br />
<b>প্রশ্ন</b> : অমুসলিমদেরকে ইফতার বা সাধারণ খাবার খাওয়ানো যাবে কি?<br />
<br />
<b>উত্তর</b> : অমুসলিমদের সামনে ইসলামের উদারতা, সৌন্দর্য এবং মহানুভবতা প্রকাশ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের অন্তরকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার অন্যতম উপায়। সুতরাং ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে কোন অমুসলিমকে মুসলিমদের ইফতার খাওয়ার জন্য ডাকা জায়েয রয়েছে। হতে পারে, এটি তার হেদায়াতের ওসিলা হয়ে যাবে।<br />
<br />
অনুরূপভাবে যে কোন অভাবী বা নি:স্বকে খাদ্য খাওয়ানো বিরাট সওয়াবের কাজ। এ বিষয়ে কুরআন-হাদিসে বহু বক্তব্য এসেছে। তাই কোন গরিব-অসহায় কাফিরকে যদি ইফতারের খবার দেয়া হয় তাতেও সওয়াব রয়েছে ইনশাআল্লাহ যদি সে মুহারিব তথা মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ লিপ্ত না হয়। তবে শর্ত হল তার সাথে আন্তরিক ভালবাসাপূর্ণ সম্পর্ক রাখা চলবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন:<br />
<br />
لَّا يَنْهَاكُمُ اللَّـهُ عَنِ الَّذِينَ لَمْ يُقَاتِلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَلَمْ يُخْرِجُوكُم مِّن دِيَارِكُمْ أَن تَبَرُّوهُمْ وَتُقْسِطُوا إِلَيْهِمْ ۚ إِنَّ اللَّـهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ<br />
<br />
“দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে নি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করে নি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন।” <b>(সূরা মুমতাহিনাহ: ৮)</b><br />
<br />
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:<br />
<br />
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ تُلْقُونَ إِلَيْهِم بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوا بِمَا جَاءَكُم مِّنَ الْحَقِّ يُخْرِجُونَ الرَّسُولَ وَإِيَّاكُمْ ۙ أَن تُؤْمِنُوا بِاللَّـهِ رَبِّكُمْ<br />
<br />
“হে মুমিনগণ, তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা তো তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তারা যে সত্য তোমাদের কাছে আগমন করেছে, তা অস্বীকার করছে। তারা রসূলকে ও তোমাদেরকে বহিস্কার করে এই অপরাধে যে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখ।” <b>(সূরা মুমতাহিনাহ: ১)</b><br />
<br />
মোটকথা, ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে কাফিরদেরকে ইফতার খাওয়ানো জায়েয।<br />
<br />
অনুরূপভাবে যে কোন অভাবী, গরিব-অসহায় মানুষকে-চাই সে মুসলিম হোক বা কাফির হোক- খাদ্যদানে সওয়াব রয়েছে।<br />
<br />
তবে যদি কোন কাফির মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ লিপ্ত হয় বা ইসলামের দিকে আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে বা অভাবী না হয় তাহলে তাদেরকে ইফতার খাওয়ার জন্য ডাকা ঠিক নয়। বরং সে ক্ষেত্রে মুসলিম, দ্বীনদার ও নিকটাত্মীয়রা এই খাদ্য খাওয়ার বেশি হকদার। আল্লাহু আলাম।<br />
<br />
<b>লেখাঃ</b> আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল (আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন<br />
<br />M.Sohaghttp://www.blogger.com/profile/13957828831765023634noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-5402588421681172582023-03-24T17:20:00.000+06:002023-03-24T17:20:46.246+06:00মাহে রামাদান: অসংখ্য কল্যাণের হাতছানি<b>মাহে রামাদান: অসংখ্য কল্যাণের হাতছানি</b><br />
<div class="separator" style="clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjYJSRakTGFO4mssnN6zwjP5VhX4TB5W8ov0qEIk8VAhCwioD3TYrIk4a224QQoUNx_MpF8PKzeB6pPkKALIWUVEWPMHKokFe4dCYcGJvmLGQdBDGDj1AguGwgYWpaSanJCt8EfPxtXeaLt/s0/ourislambd-84.jpg" style="display: block; padding: 1em 0; text-align: center; "><img alt="" border="0" data-original-height="550" data-original-width="720" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjYJSRakTGFO4mssnN6zwjP5VhX4TB5W8ov0qEIk8VAhCwioD3TYrIk4a224QQoUNx_MpF8PKzeB6pPkKALIWUVEWPMHKokFe4dCYcGJvmLGQdBDGDj1AguGwgYWpaSanJCt8EfPxtXeaLt/s0/ourislambd-84.jpg"/></a></div>
<br /><br />
খর তপ্ত জমিন। মানুষ-জন, পশু-পাখি, গাছ-পালা, তৃণ-লতা সব কিছু একপশলা বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে। হঠাৎ আকাশ জুড়ে শুরু হল মেঘের আনাগোনা। মুশলধারে বৃষ্টি বর্ষণ হল। প্রাণে প্রাণে জাগল জীবনের স্পন্দন। আবার কলকাকলিতে ভরে উঠল পৃথিবী।<br />
<br />
মাহে রমাযানের উদাহরণ অনেকটা এমনই। পৃথিবী যখন পাপ-পঙ্গিলতায় ভারি হয়ে উঠে। গুমোট অস্থিরতায় সমগ্র পৃথিবী কাঁপতে থাকে। ঠিক এমন সময় আল্লাহ তায়ালা মাহে রমাযানকে উপহার হিসেবে দেন বিশ্ববাসীর নিকট। যেন তারা তাদের পেছনে ফেলে আসা পাপরাশীকে সিয়াম, কিয়াম ও অন্যান্য নেকী অর্জনের মাধ্যমে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে নিতে পারে। আল্লাহর অশেষ রহমতের বারি ধারায় সিক্ত হয়ে শুরু করতে পারে নতুন ভাবে পথ চলা।<br />
<br />
প্রিয় ভাই ও বোন, এই রমাযান আমাদের মাঝে সমাগত। নিঃসন্দেহে রমাযান মুসলিমদের জন্য এক বিরাট কল্যাণের মাস।<br />
<br />
এ মাসে মুসলিমদের জন্য রোযা পালন করা ফরয।<br />
<br />
এ রোযা ইসলামের ৫টি রোকন (স্তম্ভ) এর মধ্যে অন্যতম।<br />
<br />
আল্লাহ তাআলা এ মাসে মানব জাতির পথ প্রদর্শনের জন্য মহা গ্রন্থ আল কুরআনুল কারীম অবতীর্ণ করেছেন।<br />
<br />
এ মাসে রয়েছে এমন একটি রাত যা এক হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আর তা হল, রমাযানের শেষ দশকের কদরের রাত বা শবে কদর।<br />
<br />
কুরআন-সুন্নায় এ মাসের মর্যাদা এবং এতে ইবাদত-বন্দেগী করার ব্যাপারে অনেক আলোচনা এসেছে।<br />
<br />
তাই আসুন, আমরা রামাযানের যথাযথ আদব রক্ষা করে সিয়াম সাধনা করে আল্লাহ তায়ালার নিকট গুনাহ-খাতা মোচন করিয়ে নেই এবং সেই সাথে দু হাত ভরে উপার্জনের চেষ্টা করি পরকালের পাথেয়। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমীন।<br /><div style="text-align: center;"><b>সমাপ্ত</b></div>
<br /><b>
লেখাঃ</b> আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলিল (আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_210414_111112_455.sdoc-->M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-57785105469653530742023-03-22T21:52:00.007+06:002023-03-23T17:10:20.369+06:00মাহে রমজান ২০২৩, হিজরী ১৪৪৪, সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী (পিডিএফ ফাইল+ছবি আকারে)বরকতময় সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজানের রোজার সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্যে এখানে প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২৩শে মার্চ সাবান মাসের ৩০দিন পূর্ণ হয়ে ২৪শে মার্চ ২০২৩ থেকে ১৪৪৪ হিজরীর থেকে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে, এক্ষেত্রে ২৩শে মার্চ দিবাগত রাতে বাংলাদেশের মুসলমানগণ সেহরী খেয়ে রোজা পালন শুরু করেন।<div><br />
অবশ্যই চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাস ও রোজা শুরু হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে সাবান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ২৩শে মার্চ তারিখ থেকে রমজান মাস শুরু হত, এক্ষেত্রে ২২শে মার্চ তারিখ দিবাগত রাতেই সেহরী খেতে হত এবং আমরা মাহে রমজান শুরু সাপেক্ষে সেহরি-ইফতার সূচীটি সংশোধন করে প্রকাশ করেছি। সাবান মাস ত্রিশ দিন পূর্ন হওয়ায় ২৪শে মার্চ থেকে রোজা শুরু হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী সূচী সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়েছে।</div><div><br /></div><div>দেশের সকল জেলার অধিবাসীগনই ঢাকা জেলার সময়ের সাথে তাদের জেলার উল্লেখিত সময় সামঞ্জস্য করে এই সূচী অনুসরণ করতে পারবেন।</div><div><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhmVcSYgO3JagbU_J3X7N7zxdcvPHGyj_KNZeLXfmaW6tDaHoFRrsegZt1OYLFTxiQ4dcGm-YLI8Pwqk_KUhvgqsSS2Ot5fxb0GHOR7UA3X8yeSWI13f8A3DyAt990qcGDf0g6kS-q6RAY3OictP0iaEcxCXUYALZ7y2f6rEI_j0F__kWxeQXlGIodXCQ/s3300/Ramadan_Calendar_Sheheri-Ifter_Time_Table-2023.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="3300" data-original-width="2338" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhmVcSYgO3JagbU_J3X7N7zxdcvPHGyj_KNZeLXfmaW6tDaHoFRrsegZt1OYLFTxiQ4dcGm-YLI8Pwqk_KUhvgqsSS2Ot5fxb0GHOR7UA3X8yeSWI13f8A3DyAt990qcGDf0g6kS-q6RAY3OictP0iaEcxCXUYALZ7y2f6rEI_j0F__kWxeQXlGIodXCQ/s16000/Ramadan_Calendar_Sheheri-Ifter_Time_Table-2023.jpg" /></a></div><br /><div><br /></div><div><br /></div>
আরবী/হিজরি বছর একটি চন্দ্র বর্ষ যা ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহামানব মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) তাঁর জন্মস্থান মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত (সফর) করার সময় থেকে মুসলমানগন গণনা করে আসছে। আর হিজরি বছরের ৯ম মাস মাহে রমজান যা মুসলমানদের জন্যে রহমত, বরকত ও নাজাত লাভের এক মহাপবিত্র মাস। রমজান মাসের পুরো মাস ব্যাপি মুসলমানগন সিয়াম পালন করে থাকেন ও সবসময় আল্লাহর ইবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। এই মাসে আল্লাহর ইবাদত করলে অন্য যে কোন মাসের তুলনায় বেশি নেকী পাওয়া যায়।<div><br /></div>
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী অনুসুরন করে বরাবরের মত এবারও আওয়ার ইসলাম বিডি আপনাদের জন্যে একটি চমৎকার রোজার ক্যালেন্ডার তৈরী করেছে। ক্যালেন্ডারটি আপনি নিচের এ্যাটাচমেন্ট (সংযুক্তি) থেকে পিডিএফ বা ছবি আকারে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে বা আপনার স্মার্ট ফোনে রেখে অনুসরন করতে পারেন এবং শেয়ার করতে পারেন আপনার পরিচিত জনদেরকেও।<div><br /></div><div><br /></div>
<div style="text-align: left;"><b><span style="font-size: large;">খতমে তারাবীহ’র নির্দেশনা:</span></b></div><div>বেশ কয়েক বছর ধরে দেশব্যাপী একই নিয়মে তারাবীহ আদায় করা হচ্ছে। তবে লক্ষ্য করা গেছে এখনো কিছু কিছু মসজিদে নিজেদের মত করে খতমে তারাবীহ’র নামাজ আদায় করা হয়। বিভিন্ন মসজিদে একই নিয়মে পবিত্র কুরআনের নির্দ্দিষ্ট পাঠ করা না হলে ভ্রমনকারী, রোজার মাসে যারা স্কুল, কলেজ, কর্মস্থল থেকে ছুটিতে এক জায়গা থেকে অন্যত্র গমন করেন তারা অনেক সময় ধারাবাহিক ভাবে কুরআনের খতম থেকে বঞ্চিত হন এবং কুরআন খতমের সওয়ার থেকেও বঞ্চিত হন। এই সমস্যা সমাধানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সারা দেশে একই নিয়মে খতমে তারাবীহ পড়ার নির্দেশনা প্রদান করেছে। </div><div><br /></div><div>নির্দেশনা অনুযায়ী মাহে রমজানের প্রথম ৬ দিনে পবিত্র কুরআনের দেড় পারা করে ৯ পারা পড়তে হবে এবং পরবর্তি ২১ দিন প্রতিদিন এক পারা করে ২১ পারা পড়তে হবে। এতে ২৭তম তারাবীহ’তে পবিত্র কুরআন খতম সম্পন্ন হবে। </div><div><br /></div><div>দেশের সকল মসজিদে একই নিয়মে কুরআন পাঠ করা হলে দেশে যে কোন স্থানে গমনকারীগনও কুরআন খতম ও তার সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবেন না।</div><div><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjbvZATBkHjzWROX53E2JEVK_HUXMc5O-g9mMPG5e04fztEDCz0TQo25gpTo_HZJ-iJN1ONEpCXbhwou_US4qtfCk3eBRyLXt-KpFL1t9Wvv746Oi84mXv454PYX_pBXIigXePr9kTvSx1ASxsQfjA2ojscjWwP_fhA-OEcnPH3z6ohC2bJ2WFd8GjFVA/s1040/tarawih-salat-rules.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1040" data-original-width="900" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjbvZATBkHjzWROX53E2JEVK_HUXMc5O-g9mMPG5e04fztEDCz0TQo25gpTo_HZJ-iJN1ONEpCXbhwou_US4qtfCk3eBRyLXt-KpFL1t9Wvv746Oi84mXv454PYX_pBXIigXePr9kTvSx1ASxsQfjA2ojscjWwP_fhA-OEcnPH3z6ohC2bJ2WFd8GjFVA/s16000/tarawih-salat-rules.jpg" /></a></div><br /><div><br /></div><div><br /></div><b><span style="font-size: medium;">
ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত সেহরি ইফতারের সময়সূচী:</span></b> <div>ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত মাহে রমজানের মূল সময়সূচীটিও আপনাদের জন্যে এখানে শেয়ার করছি। সবগুলি ফাইলই নিচের এটাচমেন্ট হতে পিডিএফ আকারে ডাওনলোড করতে পারবেন এবং প্রিন্ট করে নিজ এলাকায় বিতরন করতে পারবেন। </div><div><br /></div><div>আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাস শুরু হবে এবং শেষ হবে। সতর্কতার জন্যে সূর্যাস্তের তিন মিনিট পর ইফতার ও মাগরিবের আযানের সময় নির্ধারন করা হয়েছে এবং একই ভাবে সতর্কতার জন্যে সুবহি সাদিকের তিন মিনিট আগে সেহরির শেষ সময় নির্ধারন করা হয়েছে আর ফজরের আযান দিতে হবে সুবহি সাদিকের তিন মিনিট পর অর্থাৎ সেহরির শেষ সময়ে ছয় মিনিট পর ফজরের আযান দিতে হবে। </div><div><br /></div><div>ঢাকা জেলার বাইরে বসবাসরত রোজাদারগন অবশ্যই সেখানকার সেহরী ও ইফতারের স্থানীয় সময় অনুযায়ী সেহরী ও ইফতার গ্রহন করবেন। এই সেহরি-ইফতার সূচীতে দেয়া আছে কোন জেলার লোকজন ঢাকা জেলার কত মিনিট আগে বা পরে সেহরি-ইফতার পানাহার করবেন।</div><div><br /></div>
<h4 style="text-align: left;"><div style="text-align: center;"><span style="background-color: #fcff01; font-size: x-large;">ডাউনলোড (লিংক)</span></div><span style="font-size: medium;"><div style="text-align: center;"><a href="https://drive.google.com/file/d/1jxohRP_R3pSyj1Or-eGsjdI7nVamRRS7/view?fbclid=IwAR0lpYoikQ1OkHpIGeZm13MA6__ne22vOFAt-7wx0hTZt5GJ0oFeMRtjDEc"><span style="color: #2b00fe;">রোজার সেহরী-ইফতারের সময়সূচী পিডিএফ ফাইল (২০২৩, হিজরী ১৪৪৪)</span></a></div></span><span style="font-size: medium;"><div style="text-align: center;"><a href="https://drive.google.com/file/d/1GRJtCW0Jzy5jMjfmRgjpMhmDk-T3zPu6/view?fbclid=IwAR1x1eXh4gXtx7XdqqNAG4JDCg5IxSNbbAIUTDq9qd6p80_MnMEy98-pPw8"><span style="color: #800180;">রোজার সেহরী-ইফতারের সময়সূচী ইমেজ ফাইল (২০২৩, হিজরী ১৪৪৪)</span></a></div></span><span style="color: #2b00fe; font-size: medium;"><div style="text-align: center;"><a href="https://drive.google.com/file/d/1-upHGwOr5bFsAE2737MvrNpHTqIPluzz/view?fbclid=IwAR1xrOWeQlryxrJG4HRdv3ICFcs9KCM4Lehf2FxtJ4EJdDyrS3cWQxlLRkU"><span style="color: #2b00fe;">ইসলামি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত সময়সূচী পিডিএফ ফাইল (২০২৩, হিজরী ১৪৪৪)</span></a></div></span></h4>
M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-1640293497240910412023-03-08T10:55:00.000+06:002023-03-08T10:55:20.388+06:00আমি যে ভাবে আল্লাহর কাছে চাই!<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh9dV0WXtJLFSIxxa20ci1NCfx6kSg_PKbrK2CiJ2rpNonx3i89RJ_e4M1MDGnqY2Kz0CT2_cJ5MHzhkXXtKlMRNBT_yILhmd5qnejGIjjlZusb3cDWcXjAWNwtHYvCzmgo69oAeIU-rGPw/s1600/ourislambd-77.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="আমি যে ভাবে আল্লাহর কাছে চাই!" border="0" data-original-height="720" data-original-width="932" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh9dV0WXtJLFSIxxa20ci1NCfx6kSg_PKbrK2CiJ2rpNonx3i89RJ_e4M1MDGnqY2Kz0CT2_cJ5MHzhkXXtKlMRNBT_yILhmd5qnejGIjjlZusb3cDWcXjAWNwtHYvCzmgo69oAeIU-rGPw/s1600/ourislambd-77.jpg" title="আমি যে ভাবে আল্লাহর কাছে চাই" /></a></div>
<br />
নিরবিচ্ছিন্ন সুখ আমরা দুনিয়ার এ জীবনে কখনোই পাবো না ক্রমাগত বিপদ থাকবেই। বিভিন্ন বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে চলবে জীবন। একটা বিপদ পার হলে, আর একটা এসে হাজির হবে।<br />
<br />
এভাবেই চলবে, আর বাড়বে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রচেষ্টা, শিখবো তার সাথে কথা বলার ভাষা।<br />
<br />
প্রতি বার মনে হয়েছে কি ভাবে চাইলে, ডাকলে তিনি শুনবেন আমার কথা, পূর্ণ করবেন আমার চাওয়া। প্রথমেই খুঁজেছি কুরআনে বর্ণিত নবীদের দোয়া, কি ভাষায় তারা চেয়েছেন আল্লাহর কাছে।<br />
<br />
অন্তর প্রশান্তকর সব কুরআনের ভাষা, আল্লাহর প্রতি নির্ভরতার, নির্ভেজাল এক একটি বাক্য। বুঝেছি আমার এই বিপদ আমারই আল্লাহর অবাধ্যতার ফল।<br />
<br />
তাই নিজের গুনাহের কারনে অনুতপ্ত আমি, ইউনুস (আ.) মত করে আল গাফ্ফার, পরম ক্ষমাশীলকে আহবান করি।<br />
<br />
ل<b>اَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ</b><br />
<br />
লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায-য লিমীন।<br />
<br />
"আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র-মহান, নিশ্চয় আমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত।" <b>[আম্বিয়া ২১/৮৭]</b><br />
<br />
শোকর আদায় করি তার দেওয়া শত শত নিয়ামতের , তখন আইয়ুব (আ.) মত করে লজ্জিত কন্ঠে জানাই আমার বিপদের কথা সুস্থতা দানকারী, আশ-শাফিকে।<br />
<br />
<b>َرَبِّ أَنِّيْ مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرّٰحِمِيْن</b><br />
<br />
রববাহু আন্নি মাস্ সানিইয়াদ্ব্ দ্বুর্রু ওয়া আন্তা আর্ হামুর্ রা-হিমি--ন্. <br />
<br />
"হে আমার রব! আমি তো দুঃখ-কষ্টে নিপতিত হয়েছি! আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়াময়।" <b>[সূরা আম্বিয়া: ৮৩]</b><br />
<br />
আমি চিন্তিত, যখন দেখি কোন সাহায্য করি নাই তখন ইব্রাহিম (আ.) এর মত করে মনের কষ্ট জানাই, উত্তম অভিভাবক, আল ওয়াকিলকে।<br />
<b><br /></b>
<b>حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ</b><br />
<br />
‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল। ’<br />
<br />
‘আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম সাহায্যকারী, কার্যসম্পাদনকারী। <b>[৩:১৭৩]</b><br />
<br />
যখন নিজেকে দুর্বল ভাবি তখন সমস্ত শক্তির একমাত্র উৎস আল-ক্বওিইয়্যু শক্তিশালী সব কিছু ঠিক করে দিবেন বলে জানি।<br />
<br />
‘লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ।<br />
‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ভরসা নেই, কোনো ক্ষমতা বা শক্তি নেই।’<br />
<br />
‘লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ’-এর পাঠে জান্নাতে ধনাগার লাভ হয়। যাতে রয়েছে বান্দার যাবতীয় কল্যাণ। (বুখারি)<br />
<br />
আল্লাহ ভালোবাসেন তার সুন্দর সুন্দর নাম ধরে তার প্রশংসা করি, তারবি তাসবিহ করি তার সুন্দর নামের।<br />
<b><br /></b>
<b>ﻳﺎﺫﺍ ﺍﻟﺠﻼﻝ ﻭﺍﻹﻛﺮﺍﻡ </b><br />
<br />
ইয়া যাল-জালালি ওয়াল-ইকরাম<br />
"হে বড়ত্ত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব এবং সম্মান ও বদান্যতার অধিকারী।" (তিরমিযি)<br />
<br />
অপেক্ষায় থাকি বিভিন্ন প্রহরের।<br />
<br />
আযানের পরের দোয়া কবুল হয়, কবুল হয় আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়কার দোয়া, বৃষ্টির সময়, জুমাবারে আসরের পরে আর বুধবার জোহরের পরের দোয়া। এই সুন্দর মুহুর্ত গুলো মিস করতে চাই না আল-মুহাইমিন আমার অভিভাবক, আমার প্রতিপালকের কাছে না চেয়ে। <br />
<br />
তাহাজ্জুদের নামাযের দোয়া তো এক লক্ষ্য ভেদ্য তীর।<br />
<br />
রাতে যতবার ঘুম ভেঙ্গে যায় ততবারই এই দোয়া পড়ে সব মনের ব্যাকুলতা জানাই আল-ক্ববিদ় সরলপথ প্রদর্শনকারীর কাছে।<br />
<br />
রাসুলুল্লাহﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে বলে,<br />
“লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্’দাহ লা-শারীকালাহু,... ক্বুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল আ’লিয়্যিল আ’যীম। রাব্বিগফির লী।”<br />
<br />
তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। যদি সে কোন দুয়া করে, তবে তার সেই দুয়া কবুল করা হবে। যদি সে উঠে ওযু করে নামায পড়ে, তবে তার নামায কবুল করা হবে।” (বুখারী)<br />
<br />
ঘরের বাইরে বের হলেই ভাবি আমি সফরে আছি চলে আল-ক্বদির সর্বশক্তিমানের কাছে চাইতে থাকা।<br />
<br />
মনে পরলেই পড়তে থাকি দোয়া কবুলের জন্য সুরা ফাতেহা আর সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত আর আল-বাসী়র সর্বদ্রষ্টার কাছে ব্যক্ত করি নেক আশা, বিশ্বাস দোয়া পূরন হবে ইন শা আল্লাহ।<br />
<br />
নামায শেষে ভিখারীর মত হাত পাততে নিষেধ নাই তাই দু হাত তুলে চাইতে থাকি মালিকুল মুলকের কাছে। <br />
<br />
কুরআন খতমের করার জন্য অপেক্ষা করি না। যখনই যত বার যত টুকু পড়ি, পড়া শেষে মুনাজাত কাঁদি আল-হ়ামীদের কাছে, বিশ্বাস তিনিই আমার ব্যথিত অন্তরকে শান্তি সুখের নূর দ্বারা পুলোকিত করবেন।<br />
<br />
নামায আল্লাহর কাছে সব চেয়ে পছন্দনীয় আমল তাই ৫ ওয়াক্ত নামাযের সাথে সেই সমস্যার কথা মনে করে বারতি ৪/৬ রাকাত নফল নামাযে কথোপকথন চলে আস-সালামের সাথে। <br />
<br />
দোয়া চাই মার কাছে, শ্বাশুড়ির কাছে তাদের সন্তানের সব রকম কল্যানের জন্য তারা যেন আস সামীর কাছে ফরিয়াদ করেন।<br />
<br />
দোয়া করতে বলি দেখা, অদেখা প্রিয় জনকে, তারা যেন আল-মুজীবের কাছে আবেদন করে আমাদের বিপদ উদ্ধারের জন্য।<br />
<br />
রোজা রেখে ইফতারের আগে শুধু দোয়ার জন্য অপেক্ষা করি না এই কথোপকথন চলতে থাকে সারা দিনভর তিনি আল-হাফিয, হিফাযতকারীর কাছে।<br />
<br />
যখনই সুযোগ হয়েছে মোরগের ডাক শুনার সাথে সাথে জ্ঞাপন করেছি মনের খবর আল-খলিক্বের কাছে।<br />
<br />
মনে প্রশান্তি না আসা পর্যন্ত চলতে থাকে আর-রহ়মান, আর-রহ়ীম সবচাইতে ক্ষমাশীলের কাছে ক্ষমা যাচ্ঞা করা শত সহস্র বার। <br />
<br />
আশ্রয় প্রার্থনা করি এই বলে,<br />
<b><br /></b>
<b>:«اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ» . رواه مسلم</b><br />
<br />
‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন যাওয়া-লি নি’মাতিকা অতাহাউবুলি আ-ফিয়াতিকা অফুজাআতি নিক্বমাতিকা অজামী-ই সাখত্বিক।’<br />
<br />
হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট তোমার অনুগ্রহের অপসরণ, নিরাপত্তার প্রত্যাবর্তন, আকস্মিক পাকড়াও এবং যাবতীয় অসন্তোষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। <b>(মুসলিম ২৭৩৯)</b><br />
<br />
যত ভাবে দোয়া করেছি নিচের দোয়া টি বলে বলেছি তিনি যেন আমল গুলো কবুল করে তার বিনিময় দান করেন,<br />
<b><br /></b>
<b> رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ</b><br />
<b>وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ</b><br />
<br />
রাব্বানা- তাকাব্বাল্ মিন্না--- ইন্নাকা আন্তাস্ সামী-‘উল ‘আলী---ম্। ওয়াতুব্ ‘আলাইনা--- ইন্নাকা আন্তাত্ তাওওয়া-বুর্ রাহি---ম্। হে আমাদের রব! আমাদের থেকে আপনি কবুল করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয় তুমি তওবা কবুলকারী। দয়ালু। <b>[২:১২৭-১২৮]</b><br />
<br />
<b>লেখাঃ</b> ইসমাত নাইয়ারা (আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-59298540091714042632023-03-08T10:53:00.000+06:002023-03-08T10:53:43.897+06:00মুসলিম জাতির পরস্পরের মধ্যকার আদব ও অধিকারসমূহ<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgK2bwAMwVjOjbjuyUJe8HHv3Z5KW5JBv8CYLWjT58TJr3rgUuxeaqt2MhWZ7G6A-AQ9LAP3Y_VW_Yj7h6KDxpbmMO9j2UP-9ip0Mdgt2omdHGsOa6r5_QfVve7SMusPddpFg56gFmbtUqA/s823/oourislambd-82.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="মুসলিম জাতির পরস্পরের মধ্যকার আদব ও অধিকারসমূহ" border="0" data-original-height="823" data-original-width="720" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgK2bwAMwVjOjbjuyUJe8HHv3Z5KW5JBv8CYLWjT58TJr3rgUuxeaqt2MhWZ7G6A-AQ9LAP3Y_VW_Yj7h6KDxpbmMO9j2UP-9ip0Mdgt2omdHGsOa6r5_QfVve7SMusPddpFg56gFmbtUqA/s16000/oourislambd-82.jpg" title="মুসলিম জাতির পরস্পরের মধ্যকার আদব ও অধিকারসমূহ" /></a></div><br /><div><br /></div>মুসলিম জাতির পরস্পরের মধ্যকার আদব ও অধিকারসমূহ<br />
<br />
মুসলিম ভাইয়ের/বোনের সম্পর্ক তিন দিনের বেশি বিচ্ছিন্ন করে না রাখা ! কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:<br />
<br />
“কোনো মুসলিম ব্যক্তির জন্য তার কোনো মুসলিম ভাইকে তিন দিনের বেশি বিচ্ছিন্ন করে রাখা বৈধ নয়; তাদের উভয়ের মাঝে সাক্ষাৎ হয়, তখন একজন এ দিকে এড়িয়ে যায়, আরেকজন ঐ দিকে এড়িয়ে যায়; আর তাদের উভয়ের মধ্যে যে আগে সালাম দিবে, সে-ই উত্তম বলে বিবেচিত হবে।” <b>(বুখারী, হাদিস নং- ৫৮৮৩; মুসলিম, হাদিস নং- ৬৬৯৭)</b><br />
<br />
তিনি আরও বলেন: “আর তোমরা পরস্পর পরস্পরের পিছনে লেগনা। আর তোমরা আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে যাও।” <b>(মুসলিম, হাদিস নং- ৬৭০১)</b><br />
<br />
মুসলিম ভাই/বোনের গীবত না করা, অথবা তাকে হয়ে প্রতিপন্ন না করা, অথবা তার দোষ বর্ণনা না করা, অথবা তাকে উপহাস না করা, অথবা তাকে বিকৃত নামে না ডাকা, অথবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য তার কোনো কথা ফাঁস না করা। কেননা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা অধিকাংশ অনুমান হতে দূরে থাক। কারণ কোনো কোনো অনুমান পাপ এবং তোমরা একে অন্যের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না এবং একে অন্যের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে চাইবে? বস্তুত তোমরা তো একে ঘৃণ্যই মনে কর।”<b>(সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১২) </b><br />
<br />
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন: “হে ঈমানদারগণ! কোনো মুমিন সম্প্রদায় যেন অপর কোনো মুমিন সম্প্রদায়কে উপহাস না করে; কেননা, যাদেরকে উপহাস করা হচ্ছে তারা উপহাসকারীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে এবং নারীরা যেন অন্য নারীদেরকে উপহাস না করে; কেননা যাদেরকে উপহাস করা হচ্ছে তারা উপহাসকারিণীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে। আর তোমরা একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করো না এবং তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পর মন্দ নাম অতি নিকৃষ্ট। আর যারা তওবা করে না তারাই তো যালিম।”<b>(সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১১)</b><br />
<br />
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:<br />
“তোমরা কি জান, গীবত কাকে বলে? সাহাবীগণ বললেন: আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বলেন: তুমি তোমার ভাইয়ের এমন প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা কর, যা সে অপছন্দ করে। বলা হল: আপনার কী অভিমত, আমি যা আলোচনা করলাম, তা যদি তার মধ্যে থেকে থাকে? তিনি বললেন: যেসব দোষ তুমি বর্ণনা করেছ তা যদি সত্যিই তার মধ্যে থেকে থাকে, তবেই তো তুমি তার গীবত করলে; যদি সেসব দোষ তার মধ্যে না থাকে, তাহলে তো তুমি তার প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করলে।” <b>(মুসলিম, হাদিস নং- ৬৭৫৮)</b> <br />
<br />
আর তিনি বিদায় হাজ্জের ভাষণে বলেন: “নিশ্চয়ই তোমার পরস্পরের রক্ত (জীবন), ধন-সম্পদ ও মান-সম্মান পরস্পরের জন্য হারাম ও সম্মানের যোগ্য, তোমাদের আজকের এ দিনের সম্মানের মতই।” <b>(বুখারী, হাদিস নং- ১০৫; মুসলিম, হাদিস নং- ৪৪৭৭) </b><br />
<br />
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন: “প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির রক্ত (জীবন), ধন-সম্পদ ও মান-সম্মান অপর সব মুসলিমের জন্য হারাম।” <b>(মুসলিম, হাদিস নং- ৬৭০৬)<br /></b>
<br />
তিনি আরও বলেন: “কোনো ব্যক্তির খারাপ হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলিম ভাইকে হেয় প্রতিপন্ন করে।”<b>(মুসলিম, হাদিস নং- ৬৭০৬) </b><br />
<br />
তিনি আরও বলেন:<br />
“চোগলখোর তথা পরনিন্দাকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” <b>(বুখারী, হাদিস নং- ৫৭০৯; মুসলিম, হাদিস নং- ৩০৪)</b><br />
<br />
অন্যায়ভাবে তাকে জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় গালি না দেওয়া; কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মুসলিম ব্যক্তিকে গালি দেওয়া পাপ এবং তার বিরুদ্ধে লড়াই করা কুফরী।” <b>(বুখারী, হাদিস নং- ৬৬৬৫; মুসলিম, হাদিস নং- ২৩০) </b><br />
<br />
তিনি আরও বলেন: “কোনো ব্যক্তি যেন অপর কোনো ব্যক্তিকে ফাসেক অথবা কাফির না বলে; কারণ, সে ব্যক্তি যদি প্রকৃতই তা না হয়ে থাকে, তাহলে এ অপবাদ তার নিজের ঘাড়ে এসে পড়বে।” <b>(বুখারী, হাদিস নং- ৫৬৯৮) </b><br />
<br />
তিনি আরও বলেন: “পরস্পরকে গালি প্রদানকারী দুই ব্যক্তির মধ্যে যে আগে গালি দিয়েছে, সে দোষী বলে গণ্য হবে, যতক্ষণ না নির্যাতিত ব্যক্তি (অর্থাৎ প্রথম যাকে গালি দেয়া হয়েছে) সীমা অতিক্রম করবে।” <b>(মুসলিম, হাদিস নং- ৬৭৫৬)<br /></b>
<br />
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন: “তোমরা মৃতদেরকে গালি দিয়ো না; কারণ, তারা যা কিছু করেছে, তার ফলাফলের কাছে পৌঁছে গেছে।” <b>(বুখারী, হাদিস নং- ১৩২৯)<br /></b>
<br />
তিনি আরও বলেন: “কোনো ব্যক্তি কর্তৃক তার পিতামাতাকে গালি দেয়া কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত! সাহাবীগণ প্রশ্ন করলেন: হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম! কোনো মানুষ কি তার পিতামাতাকে গালি দিতে পারে?! জবাবে তিনি বললেন: হ্যাঁ, সে অন্য কোনো মানুষের পিতাকে গালি দেয়, তখন ঐ ব্যক্তি তার পিতাকে গালি দেয় এবং সে অন্য ব্যক্তির মাকে গালি দেয়, তখন ঐ ব্যক্তি তার মাকে গালি দেয়।”<b>(বুখারী, হাদিস নং- ৫৬২৮; মুসলিম, হাদিস নং- ২৭৩)<br /></b>
<br />
তাকে হিংসা না করা, অথবা তার ব্যাপারে খারাপ ধারণা পোষণ না করা, অথবা তাকে ঘৃণা না করা, অথবা তার পিছনে গোয়েন্দাগিরি না করা। কেননা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা অধিকাংশ অনুমান হতে দূরে থাক; কারণ কোনো কোনো অনুমান পাপ এবং তোমরা একে অন্যের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না এবং একে অন্যের গীবত করো না।”<b>(সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১২) </b><br />
<br />
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন: “যখন তারা এটা শুনল, তখন মুমিন পুরুষ এবং মুমিন নারীগণ তাদের নিজেদের সম্পর্কে কেন ভাল ধারণা করল না।”<b> (সূরা আন-নূর, আয়াত: ৯৭)</b><br />
<br />
আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “তোমরা পরস্পরের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, নকল ক্রেতা সেজে আসল ক্রেতার সামনে পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বলবে না, পরস্পরের প্রতি ঘৃণা পোষণ করো না এবং পরস্পর পরস্পরের পিছনে লেগনা। আর তোমরা আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে যাও।”<b>(মুসলিম, হাদিস নং- ৬৭০১)</b><br />
<br />
তিনি আরও বলেন:<br />
“সাবধান! তোমরা অযথা ধারণা করা থেকে বিরত থাক; কেননা, অযথা ধারণা পোষণ করা সবচেয়ে বড় ধরনের মিথ্যা।”<b>(বুখারী, হাদিস নং- ৪৮৪৯)</b><br /><div style="text-align: center;"><b>সমাপ্ত</b></div><!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_201121_182148_736.sdoc-->M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-63182767082249617872022-12-06T15:14:00.001+06:002023-02-17T21:25:17.291+06:00মা-বাবার নির্দেশ মানার প্রায়োরিটি<p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg0LqtRYZ9nwphT5c97xfiSRWI1TBIUkQqv53qYJ5YitowSGVBnAyUPRnziOh5nGM-pJeV_pXGNYxqoQq-bc1uFRkzXFIuktpm3A3XDvG6Q_F5vF3OFMUhUnElnD7ZC__7h3G1T9y3HqWikJJpsmdJcDZoOuCOsrr-x9VF2gF1j5948-2_DnTUlGJZ0/s600/317732309_3277247175829836_4316652400694044603_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="422" data-original-width="600" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg0LqtRYZ9nwphT5c97xfiSRWI1TBIUkQqv53qYJ5YitowSGVBnAyUPRnziOh5nGM-pJeV_pXGNYxqoQq-bc1uFRkzXFIuktpm3A3XDvG6Q_F5vF3OFMUhUnElnD7ZC__7h3G1T9y3HqWikJJpsmdJcDZoOuCOsrr-x9VF2gF1j5948-2_DnTUlGJZ0/s16000/317732309_3277247175829836_4316652400694044603_n.jpg" /></a></div><br /> একদিকে মুয়াজ্জিন আযান দিচ্ছেন, অন্যদিকে আপনার বাবা আপনাকে ডাকছেন। মুয়াজ্জিনের আযান শুনে আগে মসজিদে যাবেন নাকি বাবা কী জন্য ডাকছেন শুনে আসবেন?<p></p><p><br /></p><p>বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ রাহিমাহুল্লাহকে এই প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জবাব দেন- “আগে বাবার ডাকে সাড়া দিবে।”</p><p><br /></p><p>মুহাম্মাদ ইবনে মুনকাদির রাহিমাহুল্লাহ বলেন: “আপনি নামাজ (নফল) পড়াবস্থায় যদি আপনার বাবা ডাক দেন, তাহলে নামাজ ভেঙ্গে তার ডাকে সাড়া দিবেন।”</p><p><br /></p><p>ইয়াকুব আল-আজলী বিখ্যাত তাবেয়ী আতা ইবনে আবি রাবাহ রাহিমাহুল্লাহকে জিজ্ঞেস করেন, বৃষ্টির দিনে আমার মা আমাকে মসজিদে জামআতে নামাজ পড়তে নিষেধ করেন। তিনি আমাকে বাড়িতে নামাজ পড়তে বলেন। এখন আমি কার কথা শুনবো? ফরজ নামাজ পড়ার জন্য আমি কি মসজিদে যাবো, নাকি মায়ের কথামতো বাসায় নামাজ পড়বো?</p><p><br /></p><p>আতা ইবনে আবি রাবাহ জবাব দেন- “তুমি তোমার মায়ের কথামতো বৃষ্টির দিন বাসায় নামাজ পড়ো।”</p><p><br /></p><p>একজন মা তার সন্তানকে ওয়াদা করান- সে শুধুমাত্র ফরজ-ওয়াজিব নামাজ পড়বে আর রমাদ্বান মাসের রোজা রাখবে। এছাড়া কোনো নামাজ পড়বে না, কোনো রোজা রাখবে না। এমন অবস্থায় কি সে তার মায়ের ওয়াদা পালন করবে? নাকি ওয়াদা ভঙ্গ করবে?</p><p><br /></p><p>আতা ইবনে আবি রাবাহকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন- “সে তার মায়ের ওয়াদা পালন করবে।”</p><p><br /></p><p>রাতের খাবারের টেবিলে রেডি করে মা-বাবা আমাদেরকে ডাকতে থাকেন, আর আমরা বলি একটু পর আসছি। তখন আমরা কী করি? আমরা তখন মোবাইল টিপি বা পড়ালেখা করি।</p><p><br /></p><p>হিশাম ইবনে হাসান রাহিমাহুল্লাহ আল-হাসান ইবনে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি যখন রাতে কুরআন তেলাওয়াত করেন, তার মা তখন খাবার রেডি করে তাঁকে ডাকতে থাকেন। এমন অবস্থায় তিনি বিড়ম্বনায় পড়ে যান। মন চায় কুরআন তেলাওয়াত করতে, ঐদিকে তাঁর মা তাঁকে ডাকছেন। তিনি কী করবেন?</p><p><br /></p><p>আল-হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহু পরামর্শ দেন- “তুমি তোমার মায়ের ডাকে খেতে বসবে। মাকে সন্তুষ্ট করা আমার কাছে নফল হজ্জের চেয়েও প্রিয়।”</p><p>এক সাহাবী নিজের মা-বাবাকে কাঁদিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে হিজরত করে তাঁর বাইয়াত গ্রহণ করতে চাইলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন শুনলেন, লোকটি তাঁর মা-বাবাকে কান্নারত অবস্থায় ফেলে রেখে এসেছেন, তখন বললেন,</p><p>“তুমি তাদের কাছে ফিরে যাও। তাদেরকে যেভাবে কাঁদিয়েছো, সেভাবে গিয়ে হাসাও।” [সুনানে আবু দাউদ: ২৫২৮]</p><p><br /></p><p>আল্লাম ইবনুল জাওযী রাহিমাহুল্লাহর ‘আল-বিররিল ওয়ালিদাইন’ বই থেকে অনূদিত</p><p><br /></p><p>লেখাঃ আরিফুল ইসলাম (আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)</p><p> শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ !</p>M.Sohaghttp://www.blogger.com/profile/13957828831765023634noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-20318596875265920822022-09-19T15:33:00.005+06:002022-09-19T17:25:36.583+06:00বাবা মার সাথে রাগ করেছেন? একবার ভাবুন তো, বাবা মা ছাড়া আপনার জীবন কেমন হতো!<table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><tbody><tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhSYyLKGepETq5ogc__T-7Ev8jmnDy1ElSLBIshNUWHTW54pld0fbrsOtWmLthU_2pez1WHYoocOhOPTaDmMbHazoS_LaIThyItnpzdLLx-4UgMHszE2O9_LPWiKiEIWzRkQvmwz3f44hn8R2MEPt98QHVOfOrXfQfaK0IuvFgT-_G-rapqiJrpsqWrpw/s3520/ourislambd-103.png" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img alt="বাবা মার সাথে রাগ করেছেন? একবার ভাবুন তো, বাবামা ছাড়া আপনার জীবন কেমন হতো!" border="0" data-original-height="2298" data-original-width="3520" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhSYyLKGepETq5ogc__T-7Ev8jmnDy1ElSLBIshNUWHTW54pld0fbrsOtWmLthU_2pez1WHYoocOhOPTaDmMbHazoS_LaIThyItnpzdLLx-4UgMHszE2O9_LPWiKiEIWzRkQvmwz3f44hn8R2MEPt98QHVOfOrXfQfaK0IuvFgT-_G-rapqiJrpsqWrpw/s16000/ourislambd-103.png" title="বাবা মার সাথে রাগ করেছেন? একবার ভাবুন তো, বাবামা ছাড়া আপনার জীবন কেমন হতো!" /></a></td></tr><tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">বাবা মার সাথে রাগ করেছেন? একবার ভাবুন তো, বাবামা ছাড়া আপনার জীবন কেমন হতো!</td></tr></tbody></table><br /><p><br /></p><p>একজন ইয়াতীমের সাথে সমাজ কি করে?ইয়াতীমের সাথে সমাজ যেমন ব্যবহার করে, যেমন বিচার করে, আপনার সাথেও ঠিক তাই তাই হতো যদি আপনার পিতামাতা না থাকতেন!</p><p>ঝড়বৃষ্টি হরতাল-অবরোধ অভাব অনটন কোন কিছুই বাবামাকে আটকে রাখতে পারেনি, </p><p>সন্তানকে অনাহারে রাখেননি,</p><p>আদর করে মা ডেকে ডেকে খাওয়ান,</p><p>দেরি করে ফিরলে বাবা এখনো দুঃশ্চিন্তা করেন,</p><p>মাবাবা কে নিয়ে ঘুরতে যাই না কতদিন হয়েছে তবুও তারা খুশি,</p><p>মাবাবাকে নতুন কিছু প্রতিমাসে দেয়া হয় না তবুও উনারা আনন্দিত,</p><p>কত দুর্ব্যবহার করি, মাঝে মাঝে অনিচ্ছাকৃত খারাপ ব্যবহারও হয়ে যায় তবুও মাবাবা রাগ করে থাকেন না!</p><p>মন খারাপ হলে এখনো বাবামা চট করে বুঝে ফেলেন, মন ভালো করার জন্য কত কথা যে বলেন!</p><p>আর যাদের বাবা মা নেই, যারা ইয়াতীম তাদের জীবন কেমন? কিভাবে তাদের জীবন কাটে? কল্পনা করেই দেখুন!</p><p>তাই বাবামার মর্যাদা সম্পর্কে বুঝুন, তাদের মূল্যায়ন করুন। তারা অত্যন্ত মূল্যবান। তাদের প্রতি সর্বোচ্চ খেয়াল রাখুন।</p><b>
<p>رَبَّنَا اغۡفِرۡ لِیۡ وَ لِوَالِدَیَّ وَ لِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ یَوۡمَ یَقُوۡمُ الۡحِسَابُ ﴿۴۱﴾</p></b><p>‘হে আমাদের রব যেদিন হিসেব অনুষ্ঠিত হবে সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং মুমিনদেরকে ক্ষমা করুন।’ <b>(সূরা ইবরাহীম:৪১)</b></p><p>সবশেষে একটি ব্যাপক অর্থবোধক দোআ করলেন, ‘হে আমার রব! আমাকে আমার পিতা-মাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করুন ঐদিন, যেদিন হাশরের ময়দানে সারাজীবনের কাজকর্মের হিসাব নেয়া হবে। এতে তিনি মাতা-পিতার জন্যও মাগফেরাতের দোআ করেছেন। অথচ পিতা অর্থাৎ আযর যে কাফের ছিল, তা কুরআনুল কারীমেই উল্লেখিত রয়েছে। সম্ভবতঃ এ দোআটি তখন করেছেন, যখন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-কে কাফেরদের জন্য দোআ করতে নিষেধ করা হয়নি। <b>[ইবন কাসীর]</b></p><p><b>وَ اخۡفِضۡ لَہُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحۡمَۃِ وَ قُلۡ رَّبِّ ارۡحَمۡہُمَا کَمَا رَبَّیٰنِیۡ صَغِیۡرًا ﴿ؕ۲۴﴾ </b></p><p>‘আর মমতাবশে তাদের প্রতি নম্রতার পক্ষপুট অবনমিত কর [১] এবং বল, ‘হে আমার রব! তাঁদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তাঁরা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন [২]’।<b> (সূরা বনী ইসরাঈল:২৪)</b></p><p>[১] পাখি যেভাবে তাঁর সন্তান্দেরকে লালন পালন করার সময় তাঁর দু' ডানা নত করে আগলে রাখে তেমনি পিতা-মাতাকে আগলে রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া পাখি যখন উড়ে তখন ডানা মেলে ধরে তারপর যখন অবতরণ করতে চায় তখন ডানা গুটিয়ে নেয়, তেমনি পিতামাতার প্রতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাখি যেভাবে নিচে নামার জন্য গুটিয়ে নিয়ে নিজেকে নিচে নামায় তেমনি তুমি নিজেকে গৰ্ব-অহংকার মুক্ত হয়ে পিতা-মাতার সাথে ব্যবহার করবে। [ফাতহুল কাদীর] উরওয়া ইবনে যুবাইর বলেন এর অর্থ, তাদের নির্দেশ মান্য করা এবং তাদের কাংখিত কোন বস্তু দিতে নিষেধ না করা। [ফাতহুল কাদীর] </p><p><br /></p><p>[২] এর সারমর্ম এই যে, পিতা-মাতার ষোল আনা সুখ-শান্তি বিধান মানুষের সাধ্যাতীত। কাজেই সাধ্যানুযায়ী চেষ্টার সাথে সাথে তাদের জন্যে আল্লাহ তা'আলার কাছে দো'আ করবে যে, তিনি যেন করুণাবশতঃ তাদের সব মুশকিল আসান করেন এবং কষ্ট দূর করেন। বৃদ্ধ অবস্থাও মৃত্যুর সময় তাদেরকে রহমত করেন। [ইবন কাসীর] সর্বশেষ আদেশটি অত্যন্ত ব্যাপক ও বিস্তৃত। পিতা-মাতার মৃত্যুর পর ও দোআর মাধ্যমে সর্বদা পিতা-মাতার খেদমত করা যায়। পিতা-মাতা মুসলিম হলেই তাদের জন্য রহমতের দো'আ করতে হবে, কিন্তু মুসলিম না হলে তাদের জীবদ্দশায় পার্থিব কষ্ট থেকে মুক্ত থাকাও ঈমানের তওফীক লাভের জন্য করা যাবে। মৃত্যুর পর তাদের জন্যে রহমতের দো'আ করা জায়েয নেই।<b> (তাফসির : - তাফসির আবু বকর জাকারিয়া )</b></p><p><b>فَتَبَسَّمَ ضَاحِکًا مِّنۡ قَوۡلِہَا وَ قَالَ رَبِّ اَوۡزِعۡنِیۡۤ اَنۡ اَشۡکُرَ نِعۡمَتَکَ الَّتِیۡۤ اَنۡعَمۡتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ وَ اَنۡ اَعۡمَلَ صَالِحًا تَرۡضٰىہُ وَ اَدۡخِلۡنِیۡ بِرَحۡمَتِکَ فِیۡ عِبَادِکَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۱۹﴾</b></p><p>‘অতঃপর সুলাইমান তার এ কথাতে মৃদু হাসলেন এবং বললেন, ‘হে আমার রব! আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন [১] যাতে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতামাতার প্রতি আপনি যে অনুগ্রহ করেছেন তার জন্য এবং যাতে আমি এমন সৎকাজ করতে পারি যা আপনি পছন্দ করেন [২]। আর আপনার অনুগ্রহে আমাকে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের শামিল করুন [৩]’। <b>(সূরা নামাল:১৯)</b></p><p><br /></p><p>[১] এখানে উদ্দেশ্য এই যে, আমাকে সামর্থ্য দিন। আমাকে ইলহাম করুন। [মুয়াসসার] যাতে আমি নেয়ামতের কৃতজ্ঞতাকে সর্বদা সাথে রাখি, তা থেকে কোন সময় পৃথক না হই। মোটকথা এই যে, সৰ্বক্ষণ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। কারণ, আপনি আমাকে পাখি ও জীবজন্তুর কথা বুঝতে শিখিয়েছেন। আর আমার পিতার উপর নেয়ামত দিয়েছেন যে, তিনি আপনার কাছে আত্মসমৰ্পন করেছেন এবং ঈমান এনেছেন। <b>[ইবন কাসীর]</b></p><p><br /></p><p>[২] এখানে সৎকাজ করার সাথে একটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে যে, ‘যা আপনি পছন্দ করেন’ অর্থাৎ যাতে আপনার সস্তুষ্টি বিধান হয়। এর দ্বারা মূলতঃ কবুল হওয়াই উদ্দেশ্য। তখন আয়াতের অর্থ হবে, হে আল্লাহ্! আমাকে এমন সৎকর্মের তাওফীক দিন, যা আপনার কাছে মকবুল হয়। নবী-রাসূলগণ তাদের সৎকর্মসমূহ মাকবুল হওয়ার জন্যেও দো‘আ করতেন; যেমন ইবরাহীম ও ইসমাঈল আলাইহিমাসসালাম কাবা গৃহ নির্মাণের সময় দো‘আ করেছিলেনঃ رَنَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا “হে আমাদের প্রভু! আমাদের থেকে তা কবুল করুন”। <b>[সূরা আল-বাকারাহঃ ১২৭] </b>এর দ্বারা বুঝা গেল যে, কোন সৎকর্ম সম্পাদন করেই নিশ্চিন্ত হয়ে যাওয়া ঠিক নয়; বরং তা কবুল হওয়ার জন্যে আল্লাহ্ তা‘আলার দরবারে কাকুতি-মিনতির মাধ্যমে দো‘আ করা উচিত।</p><p><br /></p><p>[৩] সুলাইমান আলাইহিসসালাম এসব বাক্যে জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য আল্লাহ্র রহমত ও দয়ার দরখাস্ত করেছেন। এর দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, জান্নাতে যাওয়া আল্লাহ্র রহমতের উপর নির্ভরশীল। শুধুমাত্ৰ সৎকাজের বিনিময়ে জান্নাত পাওয়া যাবে না। হাদীসেও এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “কোন ব্যাক্তি তার কর্মের উপর ভরসা করে জান্নাতে যাবে না। সাহাবায়ে কেরাম বললেনঃ আপনিও কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আমিও না, তবে যদি আমাকে আল্লাহ্র অনুগ্রহ পরিবেষ্টন করে” <b>[বুখারীঃ ৫৩৪৯, ৬৮০৮, ৬০৯৮, মুসলিমঃ ২৮১৬]</b></p>M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-44646631660745884792022-09-15T08:30:00.000+06:002022-09-15T08:30:15.063+06:00হে নফস! তুমি ধৈর্য ধর, সবর কর, অপেক্ষা কর।<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjTgKxaQ5phTnONyxrFRXpzl8oBlixkIg362oH78K-z-P70qMSm8EAwyhCEKaBM9CvdMu7yHEsonEHzobdv---zT4CmpPDnxErRmgc4rmB8giznhcqwvX1wpZ0UpYFuXxShHok8V_WWm2admpl3azI5HkVEGAvObNzSN201oP-ykN2W-RYc3CjJbpQZaA/s3790/ourislambd-102.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="হে নফস! তুমি ধৈর্য ধর, সবর কর, অপেক্ষা কর।" border="0" data-original-height="2508" data-original-width="3790" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjTgKxaQ5phTnONyxrFRXpzl8oBlixkIg362oH78K-z-P70qMSm8EAwyhCEKaBM9CvdMu7yHEsonEHzobdv---zT4CmpPDnxErRmgc4rmB8giznhcqwvX1wpZ0UpYFuXxShHok8V_WWm2admpl3azI5HkVEGAvObNzSN201oP-ykN2W-RYc3CjJbpQZaA/s16000/ourislambd-102.jpg" title="হে নফস! তুমি ধৈর্য ধর, সবর কর, অপেক্ষা কর।" /></a></div><br /><p><b>হে নফস! </b></p><p><b>তুমি ধৈর্য ধর, সবর কর, অপেক্ষা কর।</b></p><p><br /></p><p>অচিরেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে (এমন কিছু) দান করবেন, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হবে। <b>(সূরা দুহা:৫)</b></p><p>কেবল ধৈর্যশীলদেরকেই তাদের প্রতিদান পূর্ণরূপে দেয়া হবে কোন হিসাব ছাড়াই। <b>(সূরা যুমার:১০)</b></p><p>নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য, আল্লাহর ওয়াদা বাস্তবায়িত হবেই হবে। আল্লাহর হিসাবে কোনো ভুল হবে না, আল্লাহ তিল পরিমাণ যুলম করবেন না। মানুষ ভুলে গেলেও আল্লাহ তা'য়ালা কোনো কিছুই ভুলে যান না।</p><p>আপনার রব কোনো কিছুই ভুলেন না। <b>(সূরা মারইয়াম:৬৪)</b></p><p>হে নফস!</p><p>তুমি সবর কর, চেষ্টা কর, দুয়া কর।</p><p>নিশ্চয়ই আল্লাহ তার বান্দার অতি নিকটবর্তী। <b>(সূরা বাকারাহ:১৮৬)</b></p><p>বান্দা যখনই আল্লাহর কাছে দুয়া করে, আল্লাহ বান্দার দুয়া কবুল করেন। <b>(সূরা মু'মিন/গাফির:৬০)</b></p><p>হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতের সর্বোত্তম কল্যাণ দান করুন এবং আগুনের আযাব হতে আমাদের রক্ষা করুন। <b>(সূরা বাকারাহ:২০০)</b></p><p>হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রহমত দিন এবং আমাদের জন্য আমাদের কর্মকান্ড সঠিক করে দিন।<b> (সূরা কাহফ:১০)</b></p><p>হে আমার রব, নিশ্চয় আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই নাযিল করবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী। <b>(সূরা কাসাস:২৪)</b></p><p>হে আমার রব! আমি অসহায় দূর্বল অক্ষম; অতএব আপনি আমার পক্ষ হতে প্রতিশোধ নিন। <b>(আল কামার:১০)</b></p><p>হে আল্লাহ! আমাদের জন্য আপনি যা ফয়সালা করেছেন সেগুলোর সুন্দর সমাপ্তি দিন। (মুসনাদে আহমাদ: ৪/১৮১)</p><p>আ-মীন, </p><p>আ-মীন, </p><p>আ-মীন ইয়া রাব্বুল আলামীন</p><p><b>© মাহমুদ হাসান</b></p>M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-80221239687322869562022-09-14T10:59:00.013+06:002022-09-14T11:02:07.263+06:00আল কোরআন এ উল্লেখিত বিস্ময়কর চিকিৎসা পদ্ধতি<table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><tbody><tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjWjESIHN5ZgbRFxuN2Aq_URPhFr0vqp4ZenDJxfzc2ypcibUVTyFF9ycI2KOsQlJSmeEZUL73bT5a9X-JGx6qwtloBEl27UQ2h2QAP-vcqL7v6DWwV8xyfdUc0MTkoec1TdPNVsT0iPCpADsdmQgIINP2CIy0bh53AbPBg4XYw9NzTOanMZzQiupzuWg/s3464/ourislambd-101.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img alt="আল কোরআন এ উল্লেখিত বিস্ময়কর চিকিৎসা পদ্ধতি" border="0" data-original-height="1638" data-original-width="3464" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjWjESIHN5ZgbRFxuN2Aq_URPhFr0vqp4ZenDJxfzc2ypcibUVTyFF9ycI2KOsQlJSmeEZUL73bT5a9X-JGx6qwtloBEl27UQ2h2QAP-vcqL7v6DWwV8xyfdUc0MTkoec1TdPNVsT0iPCpADsdmQgIINP2CIy0bh53AbPBg4XYw9NzTOanMZzQiupzuWg/s16000/ourislambd-101.jpg" title="আল কোরআন এ উল্লেখিত বিস্ময়কর চিকিৎসা পদ্ধতি" /></a></td></tr><tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">আল কোরআন এ উল্লেখিত বিস্ময়কর চিকিৎসা পদ্ধতি</td></tr></tbody></table><br /><div><br /></div><div>স্ট্রোক এর পেশেন্ট দের মধ্যে যারা #Bedridden(শয্যাশায়ী) হয়ে যায়,তাদের দীর্ঘদিন শুয়ে থাকার কারণে </div><div>#Bed Sore(কোমরে-পিঠে ঘাঁ) হয়ে যায়!!!</div><div>এই ঘাঁ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ডাক্তাররা ২ ঘন্টা পরপর রোগীকে এপাশ-ওপাশ করে দিতে বলেন,যাতে করে রোগীর #Bed Sore না হয়। </div><div><br /></div><div><b>এখন আসি মূল কথায়;</b></div><div>সূরা কাহাফের(১৮ নাম্বার সূরা) এক পর্যায়ে আমরা দেখতে পাই কয়েকজন যুবক এক আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপনের কারণে অবিশ্বাসিরা তাঁদেরকে পাথর মেরে হত্যা অথবা ধর্মান্তরিত করার ব্যবস্থা করলো!!!! </div><div><br /></div><div>অবিশ্বাসিদের কাছ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাঁদেরকে গুহায় আশ্রয় নিতে হয়েছিল;যেখানে আল্লাহর কুদরতে তাঁরা সেখানে প্রায় ৩০৯ বছর নিদ্রাচ্ছন্ন ছিলেন!!! </div><div>তাঁরা যখন প্রায় ৩০৯ বছর পর জাগ্রত হলো তখন তাঁদের মনে হলো তাঁরা ১ দিন বা ১ দিনের কিছু সময় মাত্র গুহায় অতিবাহিত করেছে</div><div>(আসলে এসব কিছুই হয়েছে মূলত আল্লাহর ইচ্ছায় !!) </div><div><br /></div><div>আমার দিক থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তাঁরা যখন সেখানে প্রায় ৩০৯ বছর শুয়ে ছিলো তখন যেন তাঁদের কোমরে-পিঠে ঘাঁ(Bed Sore) না হয় সেজন্য আল্লাহ তাঁদের এপাশ-ওপাশ করে দিতেন;পাশাপাশি মাটিতে থাকা পোকামাকড় যেন তাঁদের খেয়ে না ফেলে সেটাও প্রতিরোধ করলেন!!!</div><div><b>(সূরা কাহাফের #১৮ নাম্বার আয়াত)</b></div><div>আল্লাহু আকবার!! </div><div><br /></div><div>মহাগ্রন্থ আল কোরআনে প্রায় ১৫০০ বছর আগেই আজকের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার নমুনা আল্লাহ তায়ালা দিয়ে রেখেছেন!!!!</div><div><br /></div><div><b>© কামরুল হাসান নোবেল</b></div>M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-56279982494612453232022-09-13T16:49:00.003+06:002022-09-13T16:49:30.310+06:00যেদিন নবীরাও ভুলে যাবেন পরিবারের কথা<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhKzudhL-fViORAcHsK39JWWZq7S3wyrS7G04l3aaTjFjGMsfG94nAOFkcqwhz2nYpPjtRPw8n2HrCa0DfHhAhyogoLgj1TXBt0cP2pdVJgB8D4zNrlTAwphaiOh1VAdLcVVq62i7MrsCsC-iOUpQU9wHI5W-bKzxeErlNafP0mcWfeuQaNsDiVvyFUzw/s3464/ourislambd-100.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="যেদিন নবীরাও ভুলে যাবেন পরিবারের কথা" border="0" data-original-height="2257" data-original-width="3464" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhKzudhL-fViORAcHsK39JWWZq7S3wyrS7G04l3aaTjFjGMsfG94nAOFkcqwhz2nYpPjtRPw8n2HrCa0DfHhAhyogoLgj1TXBt0cP2pdVJgB8D4zNrlTAwphaiOh1VAdLcVVq62i7MrsCsC-iOUpQU9wHI5W-bKzxeErlNafP0mcWfeuQaNsDiVvyFUzw/s16000/ourislambd-100.png" title="যেদিন নবীরাও ভুলে যাবেন পরিবারের কথা" /></a></div><br /><div><br /></div><div><br /></div><div><div>নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীদের মধ্যে বয়সে সবার ছোট যিনি ছিলেন, তিনি হচ্ছেন আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা। বয়সে কনিষ্ঠ হলে কী হবে, জ্ঞান-গরিমায় ছিলেন অতুলনীয়। নবীজির ইন্তেকালের পর নারী সাহাবীদের মধ্যে সবথেকে বেশি হাদীস বর্ণনা করেছেন তিনি। আবূ বকর আস-সিদ্দিকের আদরের কন্যা আয়েশা। মানুষদের মধ্যে সবথেকে বেশি যাকে নবীজি (সা.) ভালোবাসতেন, তিনি হচ্ছেন এই আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা। </div><div><br /></div><div>তো একদিন আয়েশা (রাদ্বি.) কাঁদছিলেন। কোনো একটা বিষয়ে তিনি খুব চিন্তিত। নবীজির চোখে পড়ল বিষয়টি। এগিয়ে গিয়ে জানতে চাইলেন, 'আয়েশা, তুমি কাঁদছো কেন?' আয়েশা বললেন, 'জাহান্নামের কথা মনে করে কাঁদছি। আল্লাহর রাসূল, আপনারা (নবীরা) কি কিয়ামতের দিন আপনাদের পরিবার-পরিজনের কথা মনে রাখবেন না?'</div><div><br /></div><div>নবীজি শুধালেন, 'তিনটা জায়গায় কেউ কাউকে মনে রাখবে না আয়েশা। জায়গাগুলো হলো:</div><div><br /></div><div><b>১.</b> মীযানের কাছে। সেখানে প্রত্যেকেই নিজের নেকীর ওজন ভারী না হালকা হয়, সেই দিকেই খেয়াল রাখবে।</div><div><br /></div><div><b>২</b>. যখন আমলনামা দিয়ে বলা হবে, 'ওহে! নাও তোমার আমলনামা, পড়ে দেখো।' তখন প্রত্যেকেই এ চিন্তায় বিভোর থাকবে যে, তার আমলনামা ডান-হাতে দেওয়া হয়, না পিছনে থেকে বাম-হাতে দেওয়া হয়।</div><div><br /></div><div><b>৩</b>. পুলসিরাতের কাছে। যখন তা জাহান্নামের দুই পার্শ্বের ওপর স্থাপন করা হবে। <b>(আবূ দাউদ, ৪৩৭৩)</b></div><div><br /></div><div>হাদীসটি এতটুকুই, কিন্তু কথাগুলো ভীষণ চিন্তার। আল্লাহর কাছে সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় হলেন তাঁর নবী-রাসূলরা। তারা যেমন ছিলেন আল্লাহর নিষ্কলুষ বান্দা, তেমনি ছিলেন মানুষেরও সবচেয়ে আস্থাভাজন ব্যক্তি। দুনিয়াতে তারা ছিলেন হিদায়াতের বাতিঘর। আখিরাতেও তারা তাদের উম্মতের সম্বল। কাল হাশরের ময়দানে মানুষেরা যখন অতিষ্ঠ হয়ে যাবে, তখন কিন্তু সবার আগে নবীদের কাছেই ছুটে যাবে।</div><div><br /></div><div>তবে এই নবীগণই তিনটি জায়গায় নিজের পরিবারকেও ভুলে যাবেন। সেসব জায়গায় কেউ সেদিন কারও কথা চিন্তা করতে পারবে না। এতটাই ভীতিকর পরিস্থিতি হবে। এ থেকে বোঝা যায়, ভয়ংকর এই স্থানগুলোতে নিজের ভালো আমল এবং আল্লাহর দয়া ও ক্ষমাই আমাদের একমাত্র সম্বল। </div><div><br /></div><div>কিছু কি সঞ্চয় করতে পেরেছি আমরা নিজেদের জন্য? কোনো সম্বল কি রয়েছে সেই স্থানগুলোর জন্য?</div><div><br /></div><div><b>© 'অনেক আঁধার পেরিয়ে' বই অবলম্বনে লেখা।</b></div></div>M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-63962568581181085432022-08-12T00:32:00.001+06:002022-08-12T07:55:12.309+06:00হৃদয়ে জাগ্রত হোক হোসাইনি চেতনা<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj1e2v0Gsk5_iWgv_PC13DeVEk2ZOoNa3Yz0zcq-EgjIuv_S_c8IaEFutS7pMTw_rDq4fHrnerBOj90qYRxTRChyzWSGuMRRopkHfLoAQwul_kqGz5IgMPqoJIjLleKZmtrG73xAdB4zOLEHcpJrAzZEak-TNd5RfklXkqQ_XShIuuJ4zg0eQifrtYv/s728/image-580568-1659654331.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="410" data-original-width="728" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj1e2v0Gsk5_iWgv_PC13DeVEk2ZOoNa3Yz0zcq-EgjIuv_S_c8IaEFutS7pMTw_rDq4fHrnerBOj90qYRxTRChyzWSGuMRRopkHfLoAQwul_kqGz5IgMPqoJIjLleKZmtrG73xAdB4zOLEHcpJrAzZEak-TNd5RfklXkqQ_XShIuuJ4zg0eQifrtYv/s16000/image-580568-1659654331.jpg" /></a></div><br /><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;"><br /></p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">আরবি হিজরি বর্ষের প্রথম মহররম মাস। মানবজাতির পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকেই নানা ঘটনাপ্রবাহের ঐতিহ্য বহন করছে পবিত্র মহররম মাস। বিশেষ করে ঐতিহাসিক কারবালার রক্তঝরা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহররম মাস আরও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে ইতিহাসের পাতায়।</p><div align="center" class="col d-lg-none d-xl-none mt-2" style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #212529; flex-basis: 0px; flex-grow: 1; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; margin-top: 0.5rem; max-width: 100%; min-width: 0px; padding-left: 15px; padding-right: 15px; position: relative; width: 382px;"><div class="spacebar" style="box-sizing: border-box; margin: 10px 0px;"></div></div><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">৬১ হিজরির ১০ মহররম কারবালা প্রান্তরে মহানবির (সা.) প্রিয় দৌহিত্র, ন্যায়ের মূর্ত প্রতীক হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে চক্রান্তকারী ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে কারবালার প্রান্তরে শাহাদতবরণ করেন।তার শহিদ হওয়াকে কেন্দ্র করে বর্তমানে আশুরার গুরুত্ব পেলেও ইসলামের ইতিহাসে এই দিনে অসংখ্য তাৎপর্যময় ঘটনা রয়েছে। এ কারণে মুসলমানরা দিনটিকে বিশেষ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে স্মরণ করে থাকেন।</p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">প্রকৃত ইসলাম ও সত্যের জন্য হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ইয়াজিদ বাহিনীর কাছে মাথা নত না করে যুদ্ধ করে শাহাদতবরণ করেছিলেন। তিনি সেদিন ন্যায় ও সত্যের জন্য চরম আত্মত্যাগের যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা অনুকরণীয়। ধর্মের জন্য তার যে ত্যাগ তা আমাদের অনুসরণ করতে হবে। রাস্তাঘাট বন্ধ করে অপরকে কষ্ট দিয়ে শোক প্রকাশের কোনো শিক্ষা ইসলামে পাওয়া যায় না।</p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">পক্ষান্তরে শহিদে কারবালায় হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) বলে গেছেন-‘আমি শহিদ হলে তোমরা আমার জন্য উহ! আহ! করো না, আঁচল ছিঁড় না, বরং ধৈর্য ধারণ করে থাকবে’।</p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">নিঃসন্দেহে আমরা বলতে পারি, হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ইসলামে একক নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নিজ দেহের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত দান করে গেছেন, যুগ যুগ ধরে তার এ ত্যাগ মুসলিম উম্মাহকে এক ইমামের ছত্রছায়ায় জীবন অতিবাহিত করার অনুপ্রেরণা জোগাবে।</p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">হজরত ইমাম হাসান ও হোসাইন (রা.) সম্পর্কে মহানবি (সা.) বলেছেন, জান্নাতের যুবকদের সরদার তারা। তাদের উভয়ের জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহতায়ালার কাছে এই দোয়া করতেন যে, হে আল্লাহ! আমি তাদের ভালোবাসি, তুমিও তাদের ভালোবাস।</p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">অতএব, যারা রাসূলুল্লাহর দোয়ার কল্যাণ এতটা লাভ করেছেন আর একই সঙ্গে যারা শাহাদতের পদমর্যাদাও লাভ করেন এমন মানুষ অবশ্যই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি অনুসারে জান্নাতে মহান জীবিকা লাভ করবেন এবং তাদের হত্যাকারী অবশ্যই খোদার গজব এবং ক্রোধের শিকার হবে আর হয়েছেও তাই।</p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">হজরত ইমাম হোসাইন (রা.)-এর জীবনের একটি উদ্দেশ্য ছিল। তিনি কখনো রাষ্ট্রক্ষমতা অর্জনের লোভ রাখতেন না, তিনি সত্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। যে ন্যায়ের জন্য ইমাম হোসাইন দণ্ডায়মান হয়েছিলেন অর্থাৎ খেলাফতের নির্বাচনের অধিকার রাষ্ট্রবাসীদের ও সব মুসলমানের।</p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">কোনো ছেলে পিতাকে উত্তরাধিকার সূত্রে এ অধিকার দিতে পারে না। তিনি বলেন, এ নীতি আজও সেভাবেই পবিত্র, যেভাবে পূর্বে পবিত্র ছিল। তার শাহাদত এ অধিকারকে আরও স্পষ্ট করেছে। তার ত্যাগ, কুরবানি আমাদের জন্য অনেক শিক্ষা রেখে গেছে।</p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">তাই অশান্ত বিশ্বকে শান্তিময় করার জন্য আবারও সত্য ইমাম হোসাইনের মতো নেতার প্রয়োজন। প্রতিটি আত্মায় ইমাম হোসাইনের মতো ন্যায়ের চেতনাকে জাগ্রত করা প্রয়োজন। কেননা মুসলিম জাহান আজ চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন। শ্রেষ্ঠ নবির (সা.) অনুসারীরা আজ সর্বগ্রাসী অবক্ষয়ের শিকার হয়ে বিধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত।</p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">অধঃপতিত মুসলমানরা আজ প্রকৃত ইসলামের স্রোতধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সব মুসলিম আজ শতধাবিভক্ত হয়ে পরস্পর ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়ে পড়েছে, আর মুসলমানদের এ অনৈক্যের কারণেই ভ্রাতৃঘাতী দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত হয়ে পড়তে দ্বিধাবোধ করছে না।</p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">পৃথিবীর বর্তমান যে পরিস্থিতি, চারদিক দিয়ে মুসলমানরা আজ নানা সমস্যার সম্মুখীন এবং সর্বত্র তারা মার খাচ্ছে, এর কারণ কী? এর একমাত্র কারণ হলো মুসলিম উম্মাহর মাঝে ইমাম হোসাইন (রা.)-এর মতো সত্য ও ন্যায়পরায়ণ কোনো নেতা নেই।</p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">মুসলমানদের এ অধঃপতন থেকে উদ্ধারের জন্য সত্য ইমাম হোসাইনের প্রয়োজন আবার। যিনি এসে অশান্ত বিশ্বকে শান্তিময় করে তুলবেন, যিনি সমগ্র মুসলিম বিশ্বের ইমাম হবেন, যার নেতৃত্বে ইসলামের বিশ্ব বিজয় সংঘটিত হবে।</p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">যিনি রক্তাক্ত বিশ্বকে তরবারির পরিবর্তে ইসলামি দলিল প্রমাণের মাধ্যমে শান্ত করবেন। মুসলিম বিশ্বে যে কারবলা সংঘটিত হচ্ছে তা তিনি দূর করবেন। তাই মুসলিম বিশ্বকে আবার এক পতাকা তলে একত্রিত করার জন্য একজন সত্য ইমাম হোসাইনের বড়ই প্রয়োজন।</p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে মহররম মাসের গুরুত্ব উপলব্ধি করার এবং ইমাম হোসাইনের আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করার তৌফিক দান করুন, আমিন।</p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;"> </p><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 18px; line-height: 24px; margin-bottom: 1rem; margin-top: 0px; padding-bottom: 0px; text-align: justify;">লেখক : ইসলামি গবেষক ও কলামিস্ট</p>M.Sohaghttp://www.blogger.com/profile/13957828831765023634noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-79459708282622874232022-06-21T11:17:00.002+06:002022-08-12T07:56:04.681+06:00চলে গেলেন আল্লামা শাহ মুফতি আব্দুল হালীম বোখারী<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjfira5mY0SkW9qB51FYtqe-WuspXJ4fwdDgJ8VLPhM7Rv0lUYsswM-SA7UjI1PFAVlcES-CIQNJQk_2_jdqKFmDQje77TxcWiz_Pr27pbI2KmWE9S9RiUyEMcK_5p2N9AefKA_6Urnfv549h45JiUYd0T6f36o28yEI5Vj3R4ireSP_bCjM5id8iaF/s1100/Picsart_22-06-21_11-13-52-018.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="1100" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjfira5mY0SkW9qB51FYtqe-WuspXJ4fwdDgJ8VLPhM7Rv0lUYsswM-SA7UjI1PFAVlcES-CIQNJQk_2_jdqKFmDQje77TxcWiz_Pr27pbI2KmWE9S9RiUyEMcK_5p2N9AefKA_6Urnfv549h45JiUYd0T6f36o28yEI5Vj3R4ireSP_bCjM5id8iaF/s16000/Picsart_22-06-21_11-13-52-018.jpg" /></a></div><p> <span style="font-size: 17px;">নুরুদ্দীন তাসলিম।।</span></p><br /><span style="font-size: 17px;">চট্টগ্রামের আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক, আল্লামা শাহ মুফতি আব্দুল হালীম বোখারী ইন্তোকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার জানাজা ও দাফন বিষয়ে এখানো কিছু জানা যায়নি।আওয়ার ইসলামকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পটিয়া মাদরাসার শিক্ষক সালিমউদ্দীন আল মাহদি।</span>
<br /><br /><span style="font-size: 17px;">মঙ্গলবার ( ২১ জুন) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম শহরের সিএসসিআর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি।এর আগে রোববার (১৯ জুন) বাদ মাগরিব হঠাৎ শ্বাস কষ্টজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েন মুফতি আব্দুল হালীম বোখারী। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। সেখানে দু’দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ মহান রবের ডাকে সাড়া দিলেন তিনি।</span><br />
<br /><br /><span style="font-size: 17px;"> </span><br />
<span style="font-size: 17px;">আল্লামা শাহ মুফতি আব্দুল হালীম বোখারী হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক উপদেষ্টা, আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের মহাসচিব।</span>
<br /><br /><span style="font-size: 17px;">এছাড়াও তিনি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের শরীয়াহ সুপারভাইজারি কমিটির সভাপতি, ইসলামি সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ তাহফিজুল কুরআন সংস্থার সভাপতি এবং জামিয়া পটিয়ার মুখপাত্র মাসিক আত তাওহীদের প্রধান সম্পাদক।</span>
<br /><br /><span style="font-size: 17px;">২০১৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের স্বীকৃতি প্রদানের নিমিত্তে আল হাইআতুল উলয়া গঠিত হলে তিনি এর স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হন।</span><br />
<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_220621_111433_281.sdocx-->M.Sohaghttp://www.blogger.com/profile/13957828831765023634noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-34182026655264596662022-05-02T09:59:00.004+06:002022-05-02T15:59:58.367+06:00ঈদের দিন রয়েছে ১৩ টি সুন্নত। জেনে নিন বিষয়গুলো<p style="text-align: center;"><b>ঈদের দিন রয়েছে ১৩ টি সুন্নত। জেনে নিন বিষয়গুলো:</b></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgfjGWW6v5aQXJFY6T3Ph7RLkY42PzrS9Hha3UzQvl3hDOTi9VsqtdMnNkN4OwqxfNgjTTiW9lsdCKgbCyoZlmIgNrpn3w6sMkLcLn8fWCd6Jmob7wT7ygYgB-GcUY0_ulu8TV2DgHzq47OUx4PQs2Dt_Vo9CEfhEeRgJoVC41VVwtuwbg7c8mbtPFhDw/s720/FB_IMG_1651463276979.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="ঈদের দিন রয়েছে ১৩ টি সুন্নত। জেনে নিন বিষয়গুলো:" border="0" data-original-height="404" data-original-width="720" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgfjGWW6v5aQXJFY6T3Ph7RLkY42PzrS9Hha3UzQvl3hDOTi9VsqtdMnNkN4OwqxfNgjTTiW9lsdCKgbCyoZlmIgNrpn3w6sMkLcLn8fWCd6Jmob7wT7ygYgB-GcUY0_ulu8TV2DgHzq47OUx4PQs2Dt_Vo9CEfhEeRgJoVC41VVwtuwbg7c8mbtPFhDw/s16000/FB_IMG_1651463276979.jpg" title="ঈদের দিন রয়েছে ১৩ টি সুন্নত। জেনে নিন বিষয়গুলো:" /></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /></div><p><b>১</b>. অন্যদিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। <b>[বায়হাকী, হাদীস নং-৬১২৬]</b></p><p><b>২</b>. মিসওয়াক করা। <b>[তাবয়ীনুল হাকায়েক-১/৫৩৮]</b></p><p><b>৩</b>. গোসল করা। <b>[ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩১৫]</b></p><p><b>৪</b>.শরীয়তসম্মত সাজসজ্জা করা। <b>[বুখারী, হাদীস নং-৯৪৮]</b></p><p><b>৫</b>. সামর্থ্য অনুপাতে উত্তম পোশাক পরিধান করা। <b>[বুখারী, হাদীস নং-৯৪৮, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং -৭৫৬০]</b></p><p><b>৬</b>. সুগন্ধি ব্যবহার করা। <b>[মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-৭৫৬০]</b></p><p><b>৭</b>. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার আগে মিষ্টি জাতীয় যেমন খেজুর ইত্যাদি খাওয়া। তবে ঈদুল আযহাতে কিছু না খেয়ে ঈদের নামাযের পর নিজের কুরবানীর গোশত আহার করা উত্তম। <b>[বুখারী, হাদীস নং-৯৫৩, তিরমিজী, হাদীস নং-৫৪২, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৬০৩]</b></p><p><b>৮</b>. সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। <b>[আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৭]</b></p><p><b>৯</b>. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে সদকায়ে ফিতর আদায় করা। <b>[দারাকুতনী, হাদীস নং-১৬৯৪]</b></p><p><b>১০</b>. ঈদের নামায ঈদগাহে আদায় করা, বিনা অপরাগতায় মসজিদে আদায় না করা।<b> [বুখারী, হাদীস নং-৯৫৬, আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৮]</b></p><p><b>১১</b>. যে রাস্তায় ঈদগাহে যাবে, সম্ভব হলে ফিরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরা। <b>[বুখারী, হাদীস নং-৯৮৬]</b></p><p><b>১২. </b>পায়ে হেঁটে যাওয়া। <b>[আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৪৩]</b></p><p><b>১৩.</b> ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার সময় আস্তে আস্তে এই তাকবীর পড়তে থাকাঃ</p><p><b> اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ</b></p><p><b>বাংলায়: </b>আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।</p><p>তবে ঈদুল আযহায় যাবার সময় পথে এ তাকবীর আওয়াজ করে পড়তে থাকবেন।<b> [মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-১১০৫]</b></p><p>আল্লাহ তায়ালা আমাদের উক্ত সুন্নতগুলোর উপর আমল করার তৌফিক দান করুন। (আমীন)</p>M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-89969195946317258062022-04-29T09:42:00.002+06:002022-04-29T10:13:36.868+06:00ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা । সাল ২০২২<div class="separator" style="clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhESib0l8jUl_SYPAwuij5SsGTiZwfNwcXRJDXqx-VEExzNEYRSbDvl0wZkK3mVf2G7PBI_joxdbSgBxkf6TirUO3ET1xFaAg3xTZBHC5uHItYEz5qysuxHxm_NtYgXw-KG1c7mG6hKc4QMWya95esFzlHoFzoTnoj_Acg23u6pI8Q9cMzrmJ-uqKvPoA/s1280/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%20%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8.jpg" style="display: block; padding: 1em 0px; text-align: center;"><img alt="ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা । সাল ২০২২" border="0" data-original-height="720" data-original-width="1280" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhESib0l8jUl_SYPAwuij5SsGTiZwfNwcXRJDXqx-VEExzNEYRSbDvl0wZkK3mVf2G7PBI_joxdbSgBxkf6TirUO3ET1xFaAg3xTZBHC5uHItYEz5qysuxHxm_NtYgXw-KG1c7mG6hKc4QMWya95esFzlHoFzoTnoj_Acg23u6pI8Q9cMzrmJ-uqKvPoA/s16000/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%20%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8.jpg" title="ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা । সাল ২০২২" /></a></div>
<p> <b>ফিতরা কত টাকা ২০২২ – ফিতরার পরিমাণ কত ২০২২ : </b>এ বছর ফিতরার হার প্রতিজনে সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্ব্বোচ্চ ২,৩১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ হার নির্ধারণ করেছে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। উক্ত সভার মাধ্যমেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।</p><h2 style="text-align: center;"><b>ফিতরা কত টাকা ২০২২</b></h2><p>গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে জনপ্রতি ফিতরার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ যথাক্রমে ৭৫ ও ২৩১০ টাকা ছিল। নিসাব পরিমাণ ধন সম্পদের মালিক হলে মুসলমান নারী-পুরুষ উভয়ের সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজের পূর্বেই ফিতরা আদায় করতে হবে। প্রোবাংলার এ লেখাটি পড়লে আরো আপনি জানতে পারবেন- ফিতরা কেন দিবেন / ফিতরা কি / সদকাতুল ফিতরা কি?</p><p><br /></p><p>এবারও সর্বসম্মতিক্রমে ইসলামী শরীয়াহ মতে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক উন্নতমানের আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব সহ যে কোন একটি দিয়ে ফিতরা দেয়া যাবে। নিম্নে ছক আকারে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ছক পড়ে আপনি জানতে পারবেন- ফিতরা কত টাকা ২০২২, Fitra koto taka, Fitra কত, ফিতরা দেওয়ার নিয়ম, ফিতরার রেট ২০২২, ফিতরার পরিমাণ কত ২০২২ ও ফিতরা দিতে হয় কিসের ভিত্তিতে।</p><h2 style="text-align: center;">নেসাব পরিমাণ সম্পদ কত?</h2><p>নিসাবের পরিমাণ সম্পদ হচ্ছে, সাড়ে সাত ভরি সোনা অথবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ ও ব্যবসাপণ্য পরিমাণ সম্পত্তি। কোনো ব্যক্তি এই পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে, তাঁর নিজের ও পরিবারের সবার পক্ষ হতে সদকাতুল ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব।</p><h2 style="text-align: center;">ফিতরার পরিমাণ কত ২০২২</h2><p><b><span style="color: red;">পণ্যের নাম <span style="white-space: pre;"> </span>পরিমাণ <span style="white-space: pre;"> </span>ফিতরার মূল্য</span></b></p><p><b><span style="color: red;">গম ও আটা<span style="white-space: pre;"> </span>আধা সা- ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম<span style="white-space: pre;"> </span>৭৫ টাকা</span></b></p><p><b><span style="color: red;">যব<span style="white-space: pre;"> </span>এক সা- ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম<span style="white-space: pre;"> </span>২৮০ টাকা</span></b></p><p><b><span style="color: red;">কিসমিস<span style="white-space: pre;"> </span>এক সা- ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম<span style="white-space: pre;"> </span>১,৩২০ টাকা</span></b></p><p><b><span style="color: red;">খেজুর<span style="white-space: pre;"> </span>এক সা- ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম<span style="white-space: pre;"> </span>১,৬৫০ টাকা</span></b></p><p><b><span style="color: red;">পনির<span style="white-space: pre;"> </span>এক সা- ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম<span style="white-space: pre;"> </span>২,৩১০ টাকা</span></b></p><p>বাংলাদেশের সকল স্থান, বিভাগ হতে সংগৃহীত আটা, গম, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বর্তমান বাজার মূল্যের উপর ভিত্তি করে ফিতরার পরিমাণ কত তা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমান ব্যক্তিগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপরের ছক মোতাবেক যেকোন পণ্যের বাজার মূল্য দ্বারা ফিতর আদায় করতে পারবেন। উল্লেখ্য আবশ্যক যে, উপরোল্লিখিত পণ্যগুলোর স্থানীয় খুচরা মূল্যের পার্থক্য রয়েছে। সেই মতে স্থানীয় বাজার মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হয়ে যাবে।</p><h2 style="text-align: center;">ফিতরার রেট ২০২২</h2><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh6ANxo7Tp2exwADI2-nS7IPCfDDS2BCdJZxPi9_pvPflaz7kUXOr-oIjcYNQ2Y7-riMrnQRTSS1WxKfW3nIvRV3G14GTtyXRZujcldh8hxlz-q7bqT_70qQQFvYFLUyB8pyuIqJ1FbVrWSDP_lhZ5xVoGp8eG15Krf6zesZlfMXD6jz6cg-DeG67AixA/s952/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%A4-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা । সাল ২০২২" border="0" data-original-height="952" data-original-width="696" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh6ANxo7Tp2exwADI2-nS7IPCfDDS2BCdJZxPi9_pvPflaz7kUXOr-oIjcYNQ2Y7-riMrnQRTSS1WxKfW3nIvRV3G14GTtyXRZujcldh8hxlz-q7bqT_70qQQFvYFLUyB8pyuIqJ1FbVrWSDP_lhZ5xVoGp8eG15Krf6zesZlfMXD6jz6cg-DeG67AixA/s16000/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%A4-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8.jpg" title="ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা । সাল ২০২২" /></a></div><h2 style="text-align: center;">এক সা পরিমাণ কত কেজি?</h2><p>মাঝারি দেহের অধিকারী মানুষের হাতের চার আজলা অথবা চার খাবলায় এক ‘সা’ হয়। যার অর্থ দাঁড়ায়- দুই হাতের কব্জি একত্র করে ০৪ খাবরিতে যতটুকু খাবার উঠে তাই এক ‘সা’। আরবিতে صاع ‘সা’ নির্ধারিত পরিমাপের একটি পাত্রকে বলা হয়, যার দ্বারা দানা জাতীয় শস্য মাপা হয়।</p><p>ভিন্ন ভিন্ন শস্য যদি এক-‘সা’ এক-‘সা’ মেপে কিলোগ্রামে ওজন করা হয়, তাহলে একেক শস্যের ক্ষেত্রে ওজন অন্য শস্যের ওজন থেকে কম/বেশী হবে।</p><p>এক স্বা‘ খাদ্যশস্য প্রদান করাই ফিতরার ক্ষেত্রে ওয়াজিব। যে স্বা‘ বা পাত্র নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবহার করেছেন সে স্বা অনুযায়ী। সাধারণত দুই হাতের পরিপূর্ণ চার মুষ্ঠি সমপরিমাণ খাদ্যশস্য এক স্বা‘কে পূর্ণ করে। মেট্রিক পদ্ধতিতে ওজন করলে এর পরিমাণ প্রায় ৩ (তিন) কিলোগ্রাম।</p><p>ফিতরা কত টাকা ২০২২ – ফিতরার পরিমাণ কত ২০২২ লেখাটি পড়ে আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী (গম ও আটা/যব/কিসমিস/খেজুর/পনির) যে একটি ছকে উল্লেখিত পরিমাণ ও মূল্য পরিশোধ করে ফিতরা অদায় করুন।</p>M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-62239272127831346622022-04-02T17:58:00.003+06:002022-04-02T18:01:06.609+06:00আস-সাওম তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi0F1ttFDwlHmgKuWal8M6NetsY1uHac9INvKoUs1Zgrt3LV218khEaQNh8opyAsVHc7Tz3MWgd8A7WK-eDZt8YbBxdGsu19S_OOV8y3PAdjbK-RZZQxiC4_Hydaq84WVnEaNGTRnb6T5PYB-jBr6dMIlN3uc2ZvWhWAigcJ381YWacW9901uGsxAEH1w/s1024/20220402_141618-1024x682.png" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="আস-সাওম তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ" border="0" data-original-height="682" data-original-width="1024" height="213" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi0F1ttFDwlHmgKuWal8M6NetsY1uHac9INvKoUs1Zgrt3LV218khEaQNh8opyAsVHc7Tz3MWgd8A7WK-eDZt8YbBxdGsu19S_OOV8y3PAdjbK-RZZQxiC4_Hydaq84WVnEaNGTRnb6T5PYB-jBr6dMIlN3uc2ZvWhWAigcJ381YWacW9901uGsxAEH1w/w320-h213/20220402_141618-1024x682.png" title="আস-সাওম তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ" width="320" /></a></div><br /><div>
<p> আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আমাদের উপর সিয়ামকে ফরয করেছেন। সিয়াম শব্দের অর্থ হলো বিরত থাকা। সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খানাপিনা, সহবাস থেকে বিরত থাকাকে সিয়াম বলে। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে উপোস রেখে, সহবাস থেকে বিরত রেখে আমাদের কষ্ট দেওয়া উদ্দেশ্য নয়, বরং আমাদের তাক্বওয়া যাচাই করেন। এই সিয়াম শুধু আমাদের উপর ফরয করা হয়নি, আমাদের পূর্ববর্তী উম্মাহের জন্যও ফরয ছিলো। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনে এরশাদ ফরমান,</p><p>হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাক্বওয়া অবলম্বন কর। [সূরা বাকারা ১৮৩]</p><p>আল্লাহ তা’আলা এটি বলে উম্মাহকে বুঝাতে চেয়েছেন, এই সিয়াম শুধু তোমাদের জন্য ফরয করা হয়নি, যেটা তোমরা কষ্টকর মনে করতেছো, বরং তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাহের জন্যও ফরয ছিলো। ফলে বন্দার জন্য রোযা রাখা সহজ হবে। কেননা, কোন কষ্টকর কাজ সবাই মিলে করলে সেটা সহজ হয়ে যায়, কষ্ট মনে হয় না।</p><p>নামায, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি আমলগুলো লোকদেখানো করা যায়, সিয়াম একমাত্র ইবাদাত যেটা লোকদেখানো করা যায় না। অনেকে নামায পড়ে লোকে নামাযী বলার জন্য, অনেকে হজ্ব করে হাজী বলার জন্য, অনেকে যাকাত দেয় দানবীর বলার জন্য। কিন্তু অধিকাংশ লোক রোযা রাখে আল্লাহর ভয়ে, আল্লাহকে দেখানোর জন্য। যদিও বা কিছু লোক রোযা রাখে লোকদেখানোর জন্য, কিয়দংশ হলেও সে রোযায় তাক্বওয়া থাকে।</p><p>কেউ লোকদেখানো রোযা রাখলে মানুষের অগোচরে পানাহার করতে পারে। অযথা সারাদিন উপোস থেকে নিজেকে কষ্ট দিবে কেন? যখনই পানাহার করতে বসে, আল্লাহর ভয়ে পানাহার করে না। কেউ চায়লে পুকুরে ডুব দিয়ে যৎসামান্য পানি খেয়ে গলা ভিজিয়ে নিতে পারে, কিন্তু এমনটা করে না। কেননা মানুষ না দেখলে কী হবে, আল্লাহ তো দেখছেন। এই ভয়ে মানুষ বিরত থাকে।</p><p>এইজন্যই বুঝি রোযার সাওয়াব স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা দিবেন বলেছেন। আদম সন্তানের প্রতিটি সৎকর্ম যেমন নামায, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি তার জন্যই, কিন্তু সিয়াম আল্লাহর জন্যই। এর প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ দিবেন বলে ওয়াদা করেছেন। সুবহানাল্লাহ!</p><p>হাদিসে আছে, আদম সন্তানের প্রতিটি সৎকর্ম তার জন্যই; কিন্তু রোযা স্বতন্ত্র, তা আমারই জন্য, আর আমিই তার প্রতিদান দেব।’সুবহানাল্লাহ! এছাড়া হাদিসে আছে, সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন আছে, নিঃসন্দেহে রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মৃগনাভির সুগন্ধ অপেক্ষা বেশী উৎকৃষ্ট। [বুখারি-১৯০৪]</p><p>প্রিয় পাঠক! রমাদানের আর কিছুদিন বাকি মাত্র! আমরা রমাদানের প্রস্তুতি গ্রহণ করি। আল্লাহ আমাদের রমাদানের রোযা রাখার তাওফিক দিন-আমীন!</p><p><b>লিখেছেনঃ <a href="https://m.facebook.com/muhammadnorulislamH"><span style="background-color: white; color: black;">মুহাম্মাদ নুরুল ইসলাম</span></a></b></p></div>M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-39163099687122862352022-03-26T21:35:00.002+06:002022-03-26T21:36:40.007+06:00মাহে রমজান ২০২২, হিজরী ১৪৪৩, সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী (পিডিএফ ফাইল+ছবি আকারে)<div>বরকতময় সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজানের রোজার সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্যে এখানে প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২রা এপ্রিল সাবান মাসের ৩০দিন পূর্ণ হয়ে ৩রা এপ্রিল ২০২২ থেকে ১৪৪৩ হিজরীর থেকে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আশা করা যাচ্ছে, এক্ষেত্রে ২রা এপ্রিল দিবাগত রাতে বাংলাদেশের মুসলমানগণ সেহরী খেয়ে রোজা পালন শুরু করেন।</div><div><br /></div><div>অবশ্যই চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাস ও রোজা শুরু হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে সাবান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ২রা এপ্রিল তারিখ থেকেই রমজান মাস শুরু হতে পারে এক্ষেত্রে ১লা এপ্রিল তারিখ দিবাগত রাতেই সেহরী খেতে হবে এবং আমরা সেহরি-ইফতার সূচীটি সংশোধন করে প্রকাশ করব। সাবান মাস ত্রিশ দিন পূর্ন হলে মাহে রমজান শুরু হবে ৩রা এপ্রিল ২০২২ থেকে এবং সে অনুযায়ী সূচী প্রকাশ করা হল।</div><div><br /></div><div>দেশের সকল জেলার অধিবাসীগনই ঢাকা জেলার সময়ের সাথে তাদের জেলার উল্লেখিত সময় সামঞ্জস্য করে এই সূচী অনুসরণ করতে পারবেন।</div><div><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi-wFHl0fqyYGQQ9-o8YSY9PxnYnzWw-Qf2m6OkCBf-x7DLTdidZ4uHVP8JjP1aQmWJlzFaGCZ05W3T9L1-6cp2vCD5bB68X-KLMy88FUKvf3qq9B5pMZnPz5QnbQnkMn5zHyZvqtHb7l0GAq3tp1JI2oqRELDkPVOuQZA5Q4aRdWV5RfH_jHsj-_wEdw/s3300/Ramadan_Calendar_Sheheri-Ifter_Time_Table-2022.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="মাহে রমজান ২০২০, হিজরী ১৪৪১, সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী (পিডিএফ ফাইল+ছবি আকারে)" border="0" data-original-height="3300" data-original-width="2346" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi-wFHl0fqyYGQQ9-o8YSY9PxnYnzWw-Qf2m6OkCBf-x7DLTdidZ4uHVP8JjP1aQmWJlzFaGCZ05W3T9L1-6cp2vCD5bB68X-KLMy88FUKvf3qq9B5pMZnPz5QnbQnkMn5zHyZvqtHb7l0GAq3tp1JI2oqRELDkPVOuQZA5Q4aRdWV5RfH_jHsj-_wEdw/s16000/Ramadan_Calendar_Sheheri-Ifter_Time_Table-2022.jpg" title="মাহে রমজান ২০২০, হিজরী ১৪৪১, সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী (পিডিএফ ফাইল+ছবি আকারে)" /></a></div><br /><div></div><div><br /></div><div>আরবী/হিজরি বছর একটি চন্দ্র বর্ষ যা ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহামানব মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) তাঁর জন্মস্থান মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত (সফর) করার সময় থেকে মুসলমানগন গণনা করে আসছে। আর হিজরি বছরের ৯ম মাস মাহে রমজান যা মুসলমানদের জন্যে রহমত, বরকত ও নাজাত লাভের এক মহাপবিত্র মাস। রমজান মাসের পুরো মাস ব্যাপি মুসলমানগন সিয়াম পালন করে থাকেন ও সবসময় আল্লাহর ইবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। এই মাসে আল্লাহর ইবাদত করলে অন্য যে কোন মাসের তুলনায় বেশি নেকী পাওয়া যায়।</div><div><br /></div><div>পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কতৃক প্রকাশিত সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী অনুসুরন করে বরাবরের মত এবারও আলোরমেলা আপনাদের জন্যে একটি চমৎকার রোজার ক্যালেন্ডার তৈরী করেছে। ক্যালেন্ডারটি আপনি নিচের এ্যাটাচমেন্ট (সংযুক্তি) থেকে পিডিএফ বা ছবি আকারে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে বা আপনার স্মার্ট ফোনে রেখে অনুসরন করতে পারেন এবং শেয়ার করতে পারেন আপনার পরিচিত জনদেরকেও।</div><div><br /></div><div>এছাড়াও আপনার নিশ্চই ইতিমধ্যে খেয়াল করেছেন যে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই-বোনদের সুবিধার্থে আলোরমেলার ডান পাশে সাইডবারের (মোবাইল স্ক্রিনে নীচে) প্রতিদিন পাঁচওয়াক্ত নামাজের সময়সূচী প্রকাশিত হয়ে থাকে। ঢাকার সময় অনুযায়ী প্রকাশিত এই সূচীর সাথে আপনার এলাকার সময়ের সমন্বয় করে ব্যবহার করতে পারেন।</div><div><br /></div><div>আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাস শুরু হবে এবং শেষ হবে। সতর্কতার জন্যে সূর্যাস্তের তিন মিনিট পর ইফতার ও মাগরিবের আযানের সময় নির্ধারন করা হয়েছে এবং একই ভাবে সতর্কতার জন্যে সুবহি সাদিকের তিন মিনিট আগে সেহরির শেষ সময় নির্ধারন করা হয়েছে আর ফজরের আযান দিতে হবে সুবহি সাদিকের তিন মিনিট পর অর্থাৎ সেহরির শেষ সময়ে ছয় মিনিট পর ফজরের আযান দিতে হবে।</div><div>ঢাকা জেলার বাইরে বসবাসরত রোজাদারগন অবশ্যই সেখানকার সেহরী ও ইফতারের স্থানীয় সময় অনুযায়ী সেহরী ও ইফতার গ্রহন করবেন। এই সেহরি-ইফতার সূচীতে দেয়া আছে কোন জেলার লোকজন ঢাকা জেলার কত মিনিট আগে বা পরে সেহরি-ইফতার পানাহার করবেন।</div><div><br /></div>
<div class="attachmentsContainer" style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: 0px 0px; background-repeat: initial; background-size: initial; clear: both; font-family: verdana, "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; margin: 0px 0px 0.5em; text-align: justify;">
<div class="attachmentsList" id="attachmentsList_com_content_article_895">
<table style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: 0px 0px; background-repeat: initial; background-size: initial; border-collapse: collapse; border-spacing: 0px; border: 1px solid silver; clear: both; font-weight: 700; line-height: 18.72px; margin-bottom: 4px; max-width: 100%;"><caption style="margin-top: 4px; text-align: left;"><span style="background-color: yellow; font-size: large;">ডাউনলোড (লিংক)</span></caption><caption style="background-color: initial; margin-top: 4px; text-align: left;"> </caption><tbody style="background: 0px 0px; font-size: 11.7px;">
<tr class="odd" style="background: 0px 0px;"><td class="at_filename" style="background: 0px 0px; padding: 1px 3px; vertical-align: middle;"><span style="font-size: small;"><a class="at_icon" href="https://drive.google.com/file/d/1LQlt-qWHBlyBo_-Aksbrm9NK7j7NTKtA/view?usp=drivesdk" style="color: blue; padding-right: 4px; text-decoration-line: none;" target="_blank" title="Access this URL (https://drive.google.com/file/d/1LQlt-qWHBlyBo_-Aksbrm9NK7j7NTKtA/view?usp=drivesdk)"><img alt="Access this URL (https://drive.google.com/file/d/1LQlt-qWHBlyBo_-Aksbrm9NK7j7NTKtA/view?usp=drivesdk)" src="https://alormela.org/media/com_attachments/images/file_icons/pdf.gif" style="border: 0px; height: auto; margin: 0px; max-width: 100%; vertical-align: text-bottom;" /><img alt="" class="link_overlay" src="https://alormela.org/media/com_attachments/images/file_icons/link_arrow.png" style="border: 0px; height: auto; margin: 0px 0px 0px -16px; max-width: 100%; vertical-align: text-bottom;" /></a><a class="at_url" href="https://drive.google.com/file/d/1HQaTz0ProaQJPoNDWNk0xstmytvh3f4A/view?usp=drivesdk" style="background: 0px 0px transparent; color: blue; text-decoration-line: none;" target="_blank" title="Access this URL (https://drive.google.com/file/d/1LQlt-qWHBlyBo_-Aksbrm9NK7j7NTKtA/view?usp=drivesdk)">রোজার সেহরী-ইফতারের সময়সূচী (পিডিএফ ফাইল)</a></span></td></tr>
<tr class="even" style="background: 0px 0px rgb(238, 238, 238);"><td class="at_filename" style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: 0px 0px; background-repeat: initial; background-size: initial; padding: 1px 3px; vertical-align: middle;"><span style="font-size: small;"><a class="at_icon" href="https://drive.google.com/file/d/12lBf9ivLRQjYX2nlRfMYdnG35eEpSe2R/view?usp=drivesdk" style="color: blue; padding-right: 4px; text-decoration-line: none;" target="_blank" title="Access this URL (https://drive.google.com/file/d/12lBf9ivLRQjYX2nlRfMYdnG35eEpSe2R/view?usp=drivesdk)"><img alt="Access this URL (https://drive.google.com/file/d/12lBf9ivLRQjYX2nlRfMYdnG35eEpSe2R/view?usp=drivesdk)" src="https://alormela.org/media/com_attachments/images/file_icons/image.gif" style="border: 0px; height: auto; margin: 0px; max-width: 100%; vertical-align: text-bottom;" /><img alt="" class="link_overlay" src="https://alormela.org/media/com_attachments/images/file_icons/link_arrow.png" style="border: 0px; height: auto; margin: 0px 0px 0px -16px; max-width: 100%; vertical-align: text-bottom;" /></a><a class="at_url" href="https://drive.google.com/file/d/1R_DgaQ7bB_sejoF5wIexgLvTK4u2Lo6-/view?usp=drivesdk" style="background: 0px 0px transparent; color: blue; text-decoration-line: none;" target="_blank" title="Access this URL (https://drive.google.com/file/d/12lBf9ivLRQjYX2nlRfMYdnG35eEpSe2R/view?usp=drivesdk)">রোজার সেহরী-ইফতারের সময়সূচী (ছবি আকারে)</a></span></td></tr>
</tbody></table>
</div>
</div>
M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-74798564551948447392021-10-08T09:11:00.000+06:002021-10-08T09:11:26.946+06:00সর্বদা নেশাদার দ্রব্য পানকারী জান্নাতে যাবে না <p><br /></p><div style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEiQsV37YazaZ6I9Oia3DVdkK5mQf2MEsW00sjNYY5ltnbEKphLZdR6dU3LftrxH_5RMkdyFhPF33RoFTqRzFcLmI4rOhb5VMmZowvb0WVpsWIGxH7CMmbeDEUR9oUWzOS2dIGldHCxIQWX_wnEWKAsIwyqFzah51e3Wta-Uwx4w24Rp6WpD3FboWRpW=s720" imageanchor="1"><img border="0" data-original-height="544" data-original-width="720" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEiQsV37YazaZ6I9Oia3DVdkK5mQf2MEsW00sjNYY5ltnbEKphLZdR6dU3LftrxH_5RMkdyFhPF33RoFTqRzFcLmI4rOhb5VMmZowvb0WVpsWIGxH7CMmbeDEUR9oUWzOS2dIGldHCxIQWX_wnEWKAsIwyqFzah51e3Wta-Uwx4w24Rp6WpD3FboWRpW=s16000" /></a></div><br /><p></p><p>আজ মানবসভ্যতার চরম শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে মাদক। মাদকের ভয়াল থাবায় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে দেশের সব স্তরের মানুষ। বাদ যাচ্ছে না উঠতি বয়সী তরুণ তরুণীরাও। তছনছ হয়ে যাচ্ছে অসংখ্য পরিবার। চুরি, ডাকাতি, হত্যা, ধর্ষণসহ অনেক অপরাধই হচ্ছে মাদকের জন্য। মাদকসেবীরা তাদের অর্থ জোগান দিতে এমন কোনো অন্যায় ও গর্হিত কাজ নেই যে করছে না।</p><p><b>আমরা মুসলিম। আমাদের ধর্ম ইসলাম</b>। আর ইসলাম হচ্ছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। আমাদের উচিত ইসলাম অনুযায়ী নিজেদের জীবন পরিচালনা করা। আর এটাই ঈমানের দাবি। ইসলাম মানবকল্যাণময় এক ধর্ম। আজকের পৃথিবীতে মাদকের ছড়াছড়িতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে মানবসভ্যতা। মানবসভ্যতাকে সংরক্ষণের লক্ষ্য সামনে রেখে আজ থেকে চৌদ্দশত বছর আগেই ইসলাম মাদকের কুফল সম্পর্কে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে। মাদকদ্রব্যের আরবি প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘খমর’। যেসব বস্তু সেবনের ফলে মাদকতা সৃষ্টি হয় এবং বুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে ফেলে অথবা বিবেকবোধের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে তাকে ইসলামের ভাষায় ‘খমর’ বা মাদক বলা হয়।</p><p><br /></p><p>মহাগ্রন্থ আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, 'হে মুমিনগণ! এই যে মদ, জুয়া এবং ভাগ্যনির্ধারক শরসমূহ (তৎকালীন প্রচলিত এক ধরনের জুয়া) এসব কিছু শয়তানের কাজ বৈ অন্য কিছু নয়। অতএব এগুলো থেকে দূরে থাকো। যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও'।<b> (সূরা মায়িদা, ৯০)</b></p><p><br /></p><p>ওই আয়াতে মাদকসংশ্লিষ্ট সবকিছুকে শয়তানের জঘন্য কাজ বলা হয়েছে। <b>আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা: </b>হতে বর্ণিত হাদিসে মাদকাসক্তদের প্রতি কঠোর ভর্ৎসনা করে রাসূল সা: এরশাদ করেন, যদি কেউ মদ পান করে আল্লাহ তায়ালা তার চল্লিশ দিনের নামাজ কবুল করেন না। আর মদ্যপ অবস্থায় কেউ মৃত্যুবরণ করলে তবে সে চিরস্থায়ী জাহান্নামি হবে।</p><p><br /></p><p>অন্য এক <b>হাদিসে রাসূল (সা.) </b>বলেছেন, মদ সব অশ্লীলতার মূল ও মারাত্মক কবিরা গোনাহ যা ক্ষমার অযোগ্য। যতক্ষণ না সে তার কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে তাওবা না করে ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করবেন না।</p><p><br /></p><p><b>হজরত ইবনে ওমর (রা.) </b>থেকে বর্ণিত, <b>রাসূল (সা.) </b>এরশাদ করেছেন, 'সব নেশাজাতীয় দ্রব্যই খমর তথা মাদকের অন্তর্ভুক্ত। আর সব ধরনের মাদকই হারাম'। (মুসলিম)</p><p><br /></p><p>মাদকসেবীদের মাদকাসক্তি থেকে বিরত রাখতে অনেক কিছুই করা হচ্ছে আজ। কিন্তু মাদকাসক্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে লাগামহীনভাবে। যত কিছুই করা হোক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত মাদকসেবীদের অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করা না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের মাদক থেকে দূরে আনা যাবে না। আর আল্লাহর ভয় তখনই সৃষ্টি হবে যখন ইসলামী শিক্ষা চর্চার মাধ্যমে নিজেকে এবং নিজের দায়িত্ব কর্তব্য বুঝতে পারবে এবং নিজের প্রভুর পরিচয় লাভ করতে পারবে। সুতরাং মাদককে চির নির্মূল করতে প্রয়োজন মাদকসেবীদের ইসলামী শিক্ষার আলোকে আলোকিত করা। সন্তানকে শুরু থেকেই এমন একটা পরিবেশ ও শিক্ষা দিতে হবে যা সন্তানের স্বাভাবিক বিকাশে সহায়ক।</p><p><br /></p><p><br /></p><p><b>লেখাঃ জান্নাত বিনতে খায়ের (আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)</b></p><p><br /></p><p><br /></p><p> <b>শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ </b></p>M.Sohaghttp://www.blogger.com/profile/13957828831765023634noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-45323437626529878232021-10-01T17:54:00.002+06:002021-10-03T20:46:43.873+06:00রবের বিধান পালনের মাঋেই রয়েছে সফলতা<p><br /></p><div style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEhYebFPdS9uODB-_I0NdzSZr6SiQzvUiYHUBhhU4M4QVBKchLJEc5VGy5w6qYdGrdu_9h-9Yw34mOLgLvuPLbmkBRM6rOB2awOG7uSlumKuLfPAj-VpxJUr5gCCxrfr4ZuTFaGZECXaWL1dvQMBq2WPRhwJ0MbgfgnRsCPJU7QB-DoHya3A2oK1cHYY=s720"><img border="0" data-original-height="556" data-original-width="720" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEhYebFPdS9uODB-_I0NdzSZr6SiQzvUiYHUBhhU4M4QVBKchLJEc5VGy5w6qYdGrdu_9h-9Yw34mOLgLvuPLbmkBRM6rOB2awOG7uSlumKuLfPAj-VpxJUr5gCCxrfr4ZuTFaGZECXaWL1dvQMBq2WPRhwJ0MbgfgnRsCPJU7QB-DoHya3A2oK1cHYY=s16000" /></a></div><p></p><p><br /></p><p><span style="font-size: 17px;">মহান আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির সেরা হিসেবে মানবসন্তানের প্রধান কাজ যথাযথভাবে আল্লাহর আনুগত্য করা, আল্লাহর প্রিয়পাত্র হিসেবে নিজেদেরকে প্রমাণিত করা। যিনি আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হতে পেরেছেন, তিনি সফল, তিনি-ই সৌভাগ্যবান। আল্লাহর প্রিয়ভাজন হওয়া যায় শরিয়তের আদেশ পালন ও নিষেধ বর্জনের মাধ্যমে। আল্লাহর একত্ববাদ স্বীকার ও শিরক-কুফর পরিত্যাগ আল্লাহর নিকটভাজন হওয়ার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। সওয়াবের কাজ সম্পাদন এবং গোনাহের কাজ বর্জন মানবজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন না করে কারোর পক্ষে আল্লাহ তায়ালার প্রীতিভাজন হওয়া সম্ভব নয়। শরিয়তের বিধানাবলি বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই মহান প্রভুর ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হয়।</span></p><br /><span style="font-size: 17px;">ক. ফরজ-ওয়াজিব বিধান পালন ও হারাম পরিত্যাগ হলো ঈমান আনয়নের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,</span>
<br /><br /><span style="font-size: 17px;">‘আমি বান্দার ওপর যেসব বিধান ফরজ করেছি, সেগুলো পালন করার মাধ্যমেই আমার প্রিয়পাত্রে পরিণত হয়। মানুষ নফল ইবাদত করতে করতে একপর্যায়ে আমার ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হয়। এরপর সে আমার প্রিয় হয়ে গেলে আমি তার চক্ষু হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে, কর্ণ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শোনে, হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে কর্ম করে ও পায়ে পরিণত হই, যা দিয়ে সে চলাচল করে। সে আমার কাছে চাইলে দান করি, আশ্রয় প্রার্থনা করলে আশ্রয় দান করি’ (বুখারি, ৬৫০২)</span>
<br /><br /><span style="font-size: 17px;">তেমনিভাবে রোজা, জাকাত, পর্দা, হালাল উপার্জনসহ আরো যত ফরজ ও আবশ্যকীয় বিধান আরোপিত আছে, সেগুলোই প্রিয়পাত্র হওয়ার মূল চাবিকাঠি।</span>
<br /><br /><span style="font-size: 17px;">ফরজ বিধানের প্রধানতম হলো নামাজ। সময়মতো সব আহকামসহ নামাজ আদায় করা মুক্তির পথ। কিয়ামতের ময়দানে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব গ্রহণ করা হবে।</span>
<br /><br /><span style="font-size: 17px;">নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের ওপর ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি ফরজ নামাজ কোনো প্রকার ত্রুটি ব্যতীত সঠিকভাবে আদায় করবে, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন ওয়াদা রক্ষার্থে তাকে দ্রুত জান্নাতে প্রবেশ করাবেন’। (আবু দাউদ-১৪২০)।</span>
<br /><br /><span style="font-size: 17px;">খ. বিভিন্ন নফল ইবাদতের মাধ্যেমে আল্লাহর প্রিয়পাত্র হওয়া যায়। শারীরিক ইবাদতের মধ্যে নফল নামাজ-রোজা। একদা মুআজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে নবী করিম (সা.) বললেন,</span>
<br /><br /><span style="font-size: 17px;">‘আমি কি তোমাকে সওয়াবের পন্থা বলে দেবো না? রোজা হলো ঢাল। সদকা গোনাহসমূহকে এমনভাবে ধ্বংস করে দেয় যেমন পানি আগুন নিভিয়ে দেয়। আর মানুষের শেষ রাতের নামাজ’। (তিরমিজি,২৬১৬)</span>
<br /><br /><span style="font-size: 17px;">আর্থিক ইবাদত যেমন - নফল দান-সদকা। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যারা সচ্ছল অবস্থায়ও এবং অসচ্ছল অবস্থায়ও (আল্লাহর জন্য) অর্থ ব্যয় করে এবং যারা নিজের ক্রোধ হজম করতে ও মানুষকে ক্ষমা করতে অভ্যস্ত। আল্লাহ এরূপ পুণ্যবানদেরকে ভালোবাসেন’ (সূরা আলে ইমরান, ১৩৪)</span>
<br /><br /><span style="font-size: 17px;">মুখের ইবাদত যেমন - কুরআন তিলাওয়াত-জিকির ইত্যাদি আল্লাহর প্রিয় ও ভালোবাসার পাত্র হওয়ার সোপান। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো দল আল্লাহর কোনো ঘরে একত্র হয়ে কুরআন তিলাওয়াত করে, তাদের ওপর রহমত অবতীর্ণ হয়, আল্লাহর রহমত তাদেরকে বেষ্টন করে রাখে, আল্লাহ তায়ালা নিজের মজলিসে তাদের আলোচনা করেন’। (মুসলিম)</span>
<br /><br /><span style="font-size: 8px;">গ<b>. </b></span><b><span style="font-size: 14px;">কুরআন হাদিসের সঠিক জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার প্রিয়পাত্র হওয়া যায়। ইলমের মাধ্যমেই আল্লাহর সাথে মানুষের সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় হয়। মানুষ নিজেকে সংশোধন করতে সক্ষম হয়। গোনাহ ও আমলের জন্য ক্ষতিকর যত বিষয় আছে, সব থেকে বেঁচে থাকার শক্তি অর্জন হয়। আল্লাহ তায়ালা কুরআন-হাদিসের জ্ঞানের ধারক-বাহকদের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘আল্লাহকে তো কেবল তারাই ভয় করে, যারা জ্ঞানের অধিকারী (আলেম)। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমতার মালিক, অতি ক্ষমাশীলও বটে’। (সূরা ফাতির, ২৮)</span>
<br /><br /><span style="font-size: 14px;">আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক আলেমদেরকে এই মহান সার্টিফিকেট দানের কারণ, মানুষের মধ্যে আলেমরাই আল্লাহর সব সত্তা-গুণাবলি সম্পর্কে অবগত থাকেন। ফলে আল্লাহর ভয় তাদের মাঝে বিদ্যমান থাকে পরিপূর্ণভাবে। সাহাবায়ে কেরাম রা: নিজেদের ইলম বৃদ্ধির জন্য দূর-দূরান্তের পথ পাড়ি দিতেন। নিজেদের ইলম বৃদ্ধির জন্য দোয়া করতেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে ও যাদেরকে জ্ঞান (ইলম) দেয়া হয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় উন্নত করবেন। তোমরা যা কিছু করো, আল্লাহ সে সম্বন্ধে পরিপূর্ণ অবগত’। (সূরা মুজাদালাহ, ১১)</span>
<br /><br /><span style="font-size: 14px;">ঘ. উত্তম চরিত্রের যাবতীয় প্রকার অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার প্রিয়পাত্র হওয়া যায়। উত্তম আখলাক এমন একটি গুণ, ঈমানের শক্তিতে যেটা অর্জন করা সম্ভব। উত্তম চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তিই ধর্মের পূর্ণাঙ্গতায় পৌঁছতে পারে। আল্লাহর নিকট মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হন। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের ভেতর ওই ব্যক্তিই সবচেয়ে উত্তম, যার আখলাক সবচেয়ে বেশি ভালো’। (বুখারি, ৩৫৫৯)</span>
<br /><br /><span style="font-size: 14px;">হাদিসের এই সুসংবাদের কারণ, উত্তম চরিত্রের মাঝে নবীদের চরিত্র ও পরিমিতিবোধের অনুসরণ হয়। আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি দানের ফলে ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে মানুষ উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে পারে। উত্তম চরিত্রের মাঝে মানুষের জন্য আবশ্যকীয় অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত। যেমনÑ অপরের কল্যাণ কামনা, রাগ দমন, ধৈর্য ধারণ, কথা-কাজে সত্যাবলম্বন, ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখা, সওয়াবের কাজে পরস্পর সহযোগিতা, মানুষের প্রতি দয়াদ্র আচরণ, অপরের জন্য সাহায্য-সহযোগিতা, বিনয় প্রকাশ, দরিদ্র-অভাবীদের প্রতি ইহসান ইত্যাদি। কোন আমলের কারণে অধিকহারে মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে? এই প্রশ্নের জবাবে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর ভয় ও উত্তম চরিত্র’। (তিরমিজি, ২১৩৫)</span><br /></b>
<br /><br /><b><span style="font-size: 14px;">লেখাঃ আমিরুল ইসলাম লুকমান (আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)</span><br /></b>
<br /><br /><span style="font-size: 14px;"> শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ !</span><br />M.Sohaghttp://www.blogger.com/profile/13957828831765023634noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-73212742499149128292021-04-16T11:30:00.003+06:002021-04-16T11:30:50.753+06:00খুবই ছোট একটি বাক্য “আস্তাগফিরুল্লাহ” (استغفر الله)। এর অর্থখুবই ছোট একটি বাক্য “আস্তাগফিরুল্লাহ”<b> (استغفر الله)</b>। এর অর্থ “আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই”। বাক্যটি ছোট হলেও আমাদের জীবনে এটি গুরুত্ববহ একটি বাক্য।<br />
<div class="separator" style="clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjHmvcYQSGarYykOQTvhitBwDKVw3IoQ7oE4VZnMP6KOlPU51zJ01uskrFShnPZq15qjdqYDIqpuFYuAY8GMEgmAgegDSTa0fRk1lAL7AMCmCblK_yhsp9R6QlDKLNc0Oy7e371u0pnrL4K/s0/ourislambd-85.jpg" style="display: block; padding: 1em 0; text-align: center; "><img alt="" border="0" data-original-height="552" data-original-width="720" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjHmvcYQSGarYykOQTvhitBwDKVw3IoQ7oE4VZnMP6KOlPU51zJ01uskrFShnPZq15qjdqYDIqpuFYuAY8GMEgmAgegDSTa0fRk1lAL7AMCmCblK_yhsp9R6QlDKLNc0Oy7e371u0pnrL4K/s0/ourislambd-85.jpg"/></a></div>
<br />মুসলমানদের জীবনে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সবকিছুর বিনিময়ে আল্লাহর সন্তুষ্ঠি অর্জন করা। আল্লাহর এই সন্তুষ্টি অর্জনে আমাদের গুনাহ আমাদেরকে বাধা দেয়। এরজন্য আমাদের প্রয়োজন হয় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার বা ইস্তিগফারের।<br />
<br />
ইস্তিগফার পাঠের মাধ্যমে আমরা আমাদের গুনাহকে মোচন করতে পারি এবং নিজেদেরকে আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের মাধ্যমে জান্নাতের জন্য উপযুক্ত করে নিতে পারি। আল্লাহ আমাদেরকে সুযোগ দিয়েছেন আমাদের গুনাহকে মোচন করে নেওয়ার। ইস্তেগফারের কল্যাণ সম্পর্কে কুরআনের আটটি আয়াত এখানে উপস্থাপন করা হল।<br />
<br /><b>
১</b>. "তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল।"<b> (সূরা নূহ, আয়াত: ১০)</b><br />
<br />
দিনে-রাতে আমরা নিজেরা বিভিন্ন গুনাহের সাথে লিপ্ত হই। পাহাড় সমান গুনাহে আমরা নিজেদেরকে ডুবিয়ে রাখি। আল্লাহ আমাদের এই পাহাড়সম গুনাহকেও মাফ করবেন, যদি আমরা আন্তরিকভাবেই ইস্তেগফার করতে পারি।<br />
<br />
রাসূল (সা.) বলেছেন, “আল্লাহ দিনে হাত বাড়িয়ে দেন যাতে রাতের পাপীরা ক্ষমা চাইতে পারে এবং তিনি রাতে হাত বাড়িয়ে দেন যাতে দিনের পাপীরা ক্ষমা চাইতে পারে।” (মুসলিম)<br />
<br />
আল্লাহর রাসূল (সা.) আরো বলেছেন, “বামকাঁধের ফেরশতা গুনাহ করা একজন মুসলিম বান্দাকে ছয় ঘন্টা সময় দেয়। সেই বান্দা যদি তওবা করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, তবে ফেরেশতা তা লিপিবদ্ধ করেনা। এবং যদি সেই বান্দা আল্লাহর কাছে ক্ষমা না চায়, তবে ফেরেশতা তা একবার লিপিবদ্ধ করে।” (মুসলিম)<br />
<br />
সুতরাং, গুনাহ করে ফেললে দ্রুত আল্লাহর ক্ষমার দিকে ছুটুন।<br />
<br /><b>
২</b>. "তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন।" <b>(সূরা নূহ, আয়াত: ১১)</b><br />
<br />
কুরআন ও হাদীসে বৃষ্টিকে আল্লাহর রহমত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ যখন কোন দোয়া কবুল করেন, তখন তিনি নিদর্শণ হিসেবে বৃষ্টি ঝরান।<br />
<br />
ক্ষমাও আল্লাহর বৃষ্টি বর্ষণ করানোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারন। বৃষ্টির মাধ্যমে যেমন মৃত ভূমি জীবন্ত হয়ে উঠে, ঠিক তেমনিভাবে আল্লাহর ক্ষমার মাধ্যমে আমাদের দূষিত অন্তর পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠে।<br />
<br />
ইস্তেগফারের মাধ্যমে আমরা আমাদের হৃদয়কে আল্লাহর বিধান গ্রহণের জন্য আরো উন্মুক্ত করে নিতে পারি।<br />
<br /><b>
৩.</b> "তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন।" <b>(সূরা নূহ, আয়াত: ১২)</b><br />
<br />
এই আয়াতে আল্লাহ ওয়াদা করছেন, তিনি আমাদের ইস্তিগফারের মাধ্যমে আমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি বাড়িয়ে দেবেন। জীবন পরিচালনার কঠিন নিষ্পেষণে যারা সর্বদা নিষ্পেষিত হচ্ছে, তাদের উচিত সর্বদা ইস্তেগফার পাঠ করা। আজ যে দরজা বন্ধ রয়েছে, কাল সে দরজা আল্লাহ খুলে দিতে পারেন।<br />
<br /><b>
৪.</b> "….তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন।" <b>(সূরা নূহ, আয়াত: ১২)</b><br />
<br />
আমরা যা চাই, আল্লাহ আমাদের শুধু তাই দেননা। আমাদের অজানা অনেক প্রয়োজনও তিনি আমাদের জন্য সরবরাহ করেন।<br />
<br />
ইস্তিগফার পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে বা শুধু আখেরাতে বাগান ও নদী সহ বিভিন্ন বিলাসের ব্যবস্থাপনার ওয়াদা করেছেন। এই বিলাস ব্যবস্থাপনা অর্জনের জন্য আমাদের উচিত আল্লাহর সন্তোষ অর্জন করা ও বেশি বেশি ইস্তেফার পাঠ করা।<br />
<br /><b>
৫</b>. "….তোমাদের পালন কর্তার কাছে তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তাঁরই প্রতি মনোনিবেশ কর; তিনি আসমান থেকে তোমাদের উপর বৃষ্টি ধারা প্রেরণ করবেন এবং তোমাদের শক্তির উপর শক্তি বৃদ্ধি করবেন।" <b>(সূরা হুদ, আয়াত: ৫২)</b><br />
<br />
এই আয়াতেও আল্লাহ ইস্তেগফারের জন্য বৃষ্টি প্রেরণের ওয়াদা করছেন। পাশাপাশি বান্দার শক্তি-সামর্থে্যর অধিক শক্তি-সামর্থ্য প্রদানের জন্যও ওয়াদা করছেন। আমাদের যেকোন কাজ করার জন্যই আমাদের শারীরিক, মানসিক, জ্ঞানগত, অর্থগত বা অন্য যেকোন প্রকার শক্তিরই প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের এই শক্তি অর্জনের জন্য আমরা আল্লাহর কাছেই আশ্রয় নিতে পারি।<br />
<br />
গুনাহ থেকে মুক্ত থাকার জন্যও আমাদের পরিশ্রম করতে হয়। ইস্তেগফারের মাধ্যমে আমরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার মত সামর্থ্য অর্জন করতে পারি।<br />
<br /><b>
৬</b>. "আর তোমরা নিজেদের পালনকর্তা সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা কর। অনন্তর তাঁরই প্রতি মনোনিবেশ কর। তাহলে তিনি তোমাদেরকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উৎকৃষ্ট জীবনোপকরণ দান করবেন এবং অধিক আমলকারীকে বেশী করে দেবেন।" <b>(সূরা হুদ, আয়াত: ৩)</b><br />
<br />
এই আয়াতে ইস্তেগফারের জন্য উত্তম জীবনোপকরণের ওয়াদা করা হচ্ছে। এখানে নির্দিষ্ট সময়ের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে দেখানো হচ্ছে, জীবনের কোন কিছুই স্থায়ী নয় এবং জীবনের মেয়াদও ক্ষণস্থায়ী। সুতরাং, ক্ষণস্থায়ী এই জীবনকে আমাদের কাজে লাগানোর জন্য আল্লাহর কাছে সহায়তা চাওয়া জরুরী। এজন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার আমাদের জন্য কল্যাণকর হতে পারে।<br />
<br /><b>
৭.</b> "….তারা যতক্ষণ ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে আল্লাহ কখনও তাদের উপর আযাব দেবেন না।"<b> (সূরা আনফাল, আয়াত: ৩৩)</b><br />
<br />
মানবজীবনের একটি ভয়াবহতম বিষয় আল্লাহর আযাব। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে, আমাদের উপর যত দুর্যোগ আসে, তা হয় আমাদের পাপের ফলাফল বা না হয় পরীক্ষার উপকরণ। মুসলিম হিসেবে কোনটাই আমাদের কাম্য নয়। বেশি বেশি ইস্তেগফারের মাধ্যমে আমাদের জন্য এসকল বিপর্যয় থেকে মুক্ত থাকতে পারার ওয়াদা আল্লাহ এই আয়াতে করেছেন।<br />
<br /><b>
৮</b>. "হে আমার পালনকর্তা, আমাকে মাফ করুন এবং আমাকে এমন সাম্রাজ্য দান করুন যা আমার পরে আর কেউ পেতে পারবে না। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা।" <b>(সূরা সাদ, আয়াত: ৩৫)<br /></b>
<br />
এটি নবী সুলাইমান (আ.) এর দোয়া। এই দোয়ার সৌন্দর্য হল তিনি তার দোয়ার পূর্বে আল্লাহর কাছে নিজের ত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন বা ইস্তেগফার পাঠ করেছেন। তারপর তিনি তার প্রার্থণা করেছেন।<br />
<br />
আল্লাহ তার প্রার্থনা কবুল করে এমন এক সাম্রাজ্য তাকে দান করেছেন, যার মালিকানা তার পূর্বে ও পরে কেউ হতে পারেনি ও হবেও না।<br />
<br />
এদিকে লক্ষ্য রেখে আলেমরা উপদেশ দেন, আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থণার পূর্বে শুরুতেই আমাদের ত্রুটির জন্য আমাদের ক্ষমা প্রার্থনা বা ইস্তেগফার পাঠ করা উচিত। এই পন্থায় আল্লাহ হয়তো আমাদের দোয়া কবুল করবেন।<br /><div style="text-align: center;"><b>সমাপ্ত</b></div><!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_210416_112139_601.sdoc--></div>M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-51332246086029088422021-04-13T13:21:00.001+06:002021-04-13T13:21:08.856+06:00মাহে রমজান ২০২১, হিজরী ১৪৪২, সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী (ছবি আকারে)বরকতময় সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজানের রোজার সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্যে এখানে প্রকাশিত হয়েছে। ১৩ই এপ্রিল সাবান মাসের ৩০দিন পূর্ণ হয়েছে। সুতরাং ১৪ এপ্রিল থেকে ১৪৪২ হিজরীর পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে, এক্ষেত্রে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে সেহরী খেয়ে রোজা শুরু করতে হবে।<br />
<br />
<table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><tbody><tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjxcDgjM6grDWFtnEWpb7t47-eDq1Caikgsg6SARSAwsOsn_M9NTnu9WwXzKWAJmWnVrzcpwlJHYJkknJ5xJ6sdsnjFTT3oo-W1_t2fDsO6oHh0uxMsdHD0bJdclg7eK8zEOl4sQ63jGXUN/s2048/Ramadan_Calendar_Sheheri-Ifter_Time_2021-1.jpg" style="display: block; margin-left: auto; margin-right: auto; padding: 1em 0px; text-align: center;"><img alt="মাহে রমজান ২০২১, হিজরী ১৪৪২, সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী (ছবি আকারে)" border="0" data-original-height="2048" data-original-width="1458" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjxcDgjM6grDWFtnEWpb7t47-eDq1Caikgsg6SARSAwsOsn_M9NTnu9WwXzKWAJmWnVrzcpwlJHYJkknJ5xJ6sdsnjFTT3oo-W1_t2fDsO6oHh0uxMsdHD0bJdclg7eK8zEOl4sQ63jGXUN/s16000/Ramadan_Calendar_Sheheri-Ifter_Time_2021-1.jpg" title="মাহে রমজান ২০২১, হিজরী ১৪৪২, সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী (ছবি আকারে)" /></a></td></tr><tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><span style="background-color: white; color: #141613; font-family: Allerta; font-size: 16px;">সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী ছবি ১</span></td></tr></tbody></table>
<br /><br />
<table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><tbody><tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhfp72wFT2y0LhtXlsCsmclZPtY2nBS8t_tN94w6EJI7kOKIdW2m-kZP2_e2Vk_OfqUtD80dB0Xs3LR_eR_VY-rgKcCozn_OxbbbEvvBFrLL-xQRb6VjeEvgDJslAlBETZE96e45v_WV0l0/s2048/Ramadan_Calendar_Sheheri-Ifter_Time_2021-2.jpg" style="display: block; margin-left: auto; margin-right: auto; padding: 1em 0px; text-align: center;"><img alt="মাহে রমজান ২০২১, হিজরী ১৪৪২, সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী (ছবি আকারে)" border="0" data-original-height="2048" data-original-width="1458" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhfp72wFT2y0LhtXlsCsmclZPtY2nBS8t_tN94w6EJI7kOKIdW2m-kZP2_e2Vk_OfqUtD80dB0Xs3LR_eR_VY-rgKcCozn_OxbbbEvvBFrLL-xQRb6VjeEvgDJslAlBETZE96e45v_WV0l0/s16000/Ramadan_Calendar_Sheheri-Ifter_Time_2021-2.jpg" title="মাহে রমজান ২০২১, হিজরী ১৪৪২, সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী (ছবি আকারে)" /></a></td></tr><tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><span style="background-color: white; color: #141613; font-family: Allerta; font-size: 16px;">সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী ছবি ২</span></td></tr></tbody></table>
<br /><br />
অবশ্যই চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাস ও রোজা শুরু হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে সাবান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ১৩ তারিখ থেকেই রমজান মাস শুরু হত এক্ষেত্রে ১৩ তারিখ দিবাগত রাতেই সেহরী খেতে হত এবং আমরা সেহরি-ইফতার সূচীটি সংশোধন করে প্রকাশ করেছি। সাবান মাস ত্রিশ দিন পূর্ন হওয়ায় মাহে রমজান শুরু হয়েছে ১৪ই এপ্রিল ২০২১ থেকে এবং সে অনুযায়ী সূচী প্রকাশ করা হল।<br />
<br />
দেশের সকল জেলার অধিবাসীগনই ঢাকা জেলার সময়ের সাথে তাদের জেলার উল্লেখিত সময় সামঞ্জস্য করে এই সূচী অনুসরণ করতে পারবেন।<br />
<br />
মাহে রমজানের সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী<br />
<br />
আরবী/হিজরি বছর একটি চন্দ্র বর্ষ যা ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহামানব মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) তাঁর জন্মস্থান মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত (সফর) করার সময় থেকে মুসলমানগন গণনা করে আসছে। আর হিজরি বছরের ৯ম মাস মাহে রমজান যা মুসলমানদের জন্যে রহমত, বরকত ও নাজাত লাভের এক মহাপবিত্র মাস। রমজান মাসের পুরো মাস ব্যাপি মুসলমানগন সিয়াম পালন করে থাকেন ও সবসময় আল্লাহর ইবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। এই মাসে আল্লাহর ইবাদত করলে অন্য যে কোন মাসের তুলনায় বেশি নেকী পাওয়া যায়।<br />
<br />
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কতৃক প্রকাশিত সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী অনুসুরন করে বরাবরের মত এবারও আলোরমেলা আপনাদের জন্যে একটি চমৎকার রোজার ক্যালেন্ডার তৈরী করেছে। ক্যালেন্ডারটি আপনি নিচের এ্যাটাচমেন্ট (সংযুক্তি) থেকে পিডিএফ বা ছবি আকারে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে বা আপনার স্মার্ট ফোনে রেখে অনুসরন করতে পারেন এবং শেয়ার করতে পারেন আপনার পরিচিত জনদেরকেও।<br />
<br />
এছাড়াও আপনার নিশ্চই ইতিমধ্যে খেয়াল করেছেন যে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই-বোনদের সুবিধার্থে আলোরমেলার ডান পাশে সাইডবারের (মোবাইল স্ক্রিনে নীচে) প্রতিদিন পাঁচওয়াক্ত নামাজের সময়সূচী প্রকাশিত হয়ে থাকে। ঢাকার সময় অনুযায়ী প্রকাশিত এই সূচীর সাথে আপনার এলাকার সময়ের সমন্বয় করে ব্যবহার করতে পারেন।<br />
<br />
আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাস শুরু হবে এবং শেষ হবে। সতর্কতার জন্যে সূর্যাস্তের তিন মিনিট পর ইফতার ও মাগরিবের আযানের সময় নির্ধারন করা হয়েছে এবং একই ভাবে সতর্কতার জন্যে সুবহি সাদিকের তিন মিনিট আগে সেহরির শেষ সময় নির্ধারন করা হয়েছে আর ফজরের আযান দিতে হবে সুবহি সাদিকের তিন মিনিট পর অর্থাৎ সেহরির শেষ সময়ে ছয় মিনিট পর ফজরের আযান দিতে হবে।<br />
ঢাকা জেলার বাইরে বসবাসরত রোজাদারগন অবশ্যই সেখানকার সেহরী ও ইফতারের স্থানীয় সময় অনুযায়ী সেহরী ও ইফতার গ্রহন করবেন। এই সেহরি-ইফতার সূচীতে দেয়া আছে কোন জেলার লোকজন ঢাকা জেলার কত মিনিট আগে বা পরে সেহরি-ইফতার পানাহার করবেন।<br />
<br /><div style="text-align: center;"><b style="color: #2b00fe;">রোজার নিয়তঃ</b></div>
<b><br />
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم</b><br />
<br /><b>
আরবি নিয়ত : </b>নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি, রামদানাল মুবারাকি, ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি, ইন্নিকা আনতাস সামিউল ‘আলিম।<br />
<br /><b>
বাংলায় নিয়ত : </b>হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রামাদানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোদা (রোযা) তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।<div><br /><div style="text-align: center;"><b><span style="color: #2b00fe;">ইফতারের দোয়াঃ</span></b></div>
<b><br />
اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِيْمِيْن</b><br />
<br /><b>
উচ্চারণ : </b>আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া ‘আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।<br />
<br /><b>
অর্থ : </b>হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছি।<div><br />
<div class="attachmentsContainer" style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: 0px 0px; background-repeat: initial; background-size: initial; clear: both; font-family: verdana, "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; margin: 0px 0px 0.5em; text-align: justify;">
<div class="attachmentsList" id="attachmentsList_com_content_article_895">
<table style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: 0px 0px; background-repeat: initial; background-size: initial; border-collapse: collapse; border-spacing: 0px; border: 1px solid silver; clear: both; font-weight: 700; line-height: 18.72px; margin-bottom: 4px; max-width: 100%;"><caption style="margin-top: 4px; text-align: left;"><span style="background-color: yellow; font-size: large;">ডাউনলোড (লিংক)</span></caption><caption style="background-color: initial; margin-top: 4px; text-align: left;"> </caption><tbody style="background: 0px 0px; font-size: 11.7px;">
<tr class="even" style="background: 0px 0px rgb(238, 238, 238);"><td class="at_filename" style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: 0px 0px; background-repeat: initial; background-size: initial; padding: 1px 3px; vertical-align: middle;"><span style="font-size: small;"><a class="at_icon" href="https://drive.google.com/file/d/12lBf9ivLRQjYX2nlRfMYdnG35eEpSe2R/view?usp=drivesdk" style="color: blue; padding-right: 4px; text-decoration-line: none;" target="_blank" title="Access this URL (https://drive.google.com/file/d/12lBf9ivLRQjYX2nlRfMYdnG35eEpSe2R/view?usp=drivesdk)"><img alt="Access this URL (https://drive.google.com/file/d/12lBf9ivLRQjYX2nlRfMYdnG35eEpSe2R/view?usp=drivesdk)" src="https://alormela.org/media/com_attachments/images/file_icons/image.gif" style="border: 0px; height: auto; margin: 0px; max-width: 100%; vertical-align: text-bottom;" /><img alt="" class="link_overlay" src="https://alormela.org/media/com_attachments/images/file_icons/link_arrow.png" style="border: 0px; height: auto; margin: 0px 0px 0px -16px; max-width: 100%; vertical-align: text-bottom;" /></a><a class="at_url" href="https://drive.google.com/u/0/uc?id=1LUgeR2rcEk-KPbSKNlxfQXTVOgf9WX1J&export=download" style="background: 0px 0px transparent; color: blue; text-decoration-line: none;" target="_blank" title="Access this URL (https://drive.google.com/file/d/12lBf9ivLRQjYX2nlRfMYdnG35eEpSe2R/view?usp=drivesdk)">রোজার সেহরী-ইফতারের সময়সূচী ২০২১ (ছবি ১)</a><br /></span>
<span style="font-size: small;"><a class="at_icon" href="https://drive.google.com/file/d/12lBf9ivLRQjYX2nlRfMYdnG35eEpSe2R/view?usp=drivesdk" style="color: blue; padding-right: 4px; text-decoration-line: none;" target="_blank" title="Access this URL (https://drive.google.com/file/d/12lBf9ivLRQjYX2nlRfMYdnG35eEpSe2R/view?usp=drivesdk)"><img alt="Access this URL (https://drive.google.com/file/d/12lBf9ivLRQjYX2nlRfMYdnG35eEpSe2R/view?usp=drivesdk)" src="https://alormela.org/media/com_attachments/images/file_icons/image.gif" style="border: 0px; height: auto; margin: 0px; max-width: 100%; vertical-align: text-bottom;" /><img alt="" class="link_overlay" src="https://alormela.org/media/com_attachments/images/file_icons/link_arrow.png" style="border: 0px; height: auto; margin: 0px 0px 0px -16px; max-width: 100%; vertical-align: text-bottom;" /></a><a class="at_url" href="https://drive.google.com/u/0/uc?id=1J1J29tRfyfYhUO2rkQpbpAFx_-eHv1GY&export=download" style="background: 0px 0px transparent; color: blue; text-decoration-line: none;" target="_blank" title="Access this URL (https://drive.google.com/file/d/12lBf9ivLRQjYX2nlRfMYdnG35eEpSe2R/view?usp=drivesdk)">রোজার সেহরী-ইফতারের সময়সূচী ২০২১ (ছবি ২)</a></span>
</td></tr>
</tbody></table>
</div></div></div></div>M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-367139514761633456.post-89011139681354527692021-02-16T17:53:00.002+06:002021-02-16T17:53:35.001+06:00ফিতনা থেকে দূরে থাকুন, ভালো থাকুন!<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjZQdGJKsGd2zOvc5BAVq8jBQvGiI0vzTbECdE8jjU5yZIzQicLnQ24vJRN82SBx2jPcbCuoyY3yw9DtVsKR8lSZP5KSLnKVAG50SjcS4Sq66NjlEYGAlg0YxuHc9YGAFQBWkwRJW2cmikC/s720/ourislambd-83.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="ফিতনা থেকে দূরে থাকুন, ভালো থাকুন!" border="0" data-original-height="547" data-original-width="720" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjZQdGJKsGd2zOvc5BAVq8jBQvGiI0vzTbECdE8jjU5yZIzQicLnQ24vJRN82SBx2jPcbCuoyY3yw9DtVsKR8lSZP5KSLnKVAG50SjcS4Sq66NjlEYGAlg0YxuHc9YGAFQBWkwRJW2cmikC/s16000/ourislambd-83.jpg" title="ফিতনা থেকে দূরে থাকুন, ভালো থাকুন!" /></a></div><br /><p><br /></p>
আমাদের ইতিহাসবিদরা সাবাছ ইবনে রিবয়ি নামে অদ্ভুত এক লোকের কথা উল্লেখ করেছেন। তার জীবনের দিকে তাকালে যে কেউ চমকে যাবে :<br />
সে প্রথমে সাজাহ্ নামের এক ভণ্ড মহিলা নবির ওপর ঈমান আনে। ওই মহিলার জন্য সাবাছ আজান দিত। পরে সেখান থেকে সে তওবা করে। তারপর ন্যায়পরায়ণ খলিফা উসমান (রা) এর বিরুদ্ধে সে বিদ্রোহ করে আর তাকে হত্যা করায় অংশ নেয়। পরে সে তওবা করে।<br />
<br />
এরপর আমিরুল মুমিনীন আলী (রা)-এর বিরুদ্ধে সে খারেজিদের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। তবে দ্রুত সে তওবা করে আলী (রা)-এর শিবিরে চলে আসে।<br />
<br />
এখানেই শেষ না। এরপর সে এমন সৈন্যদের দলে যোগ দেয়, যারা হুসাইন (রা)-কে হত্যা করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে সাবাছ নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে ফেলে। যারা হুসাইন (রা)-এর হত্যার বিচারের দাবি জানাচ্ছিল, তাদের দলে সে যোগ দেয়।<br />
<br />
গল্প আরও আছে। এরপর সাবাছ মুখতার ইবনে উবাইদুল্লাহর অনুসারী হয়ে যায়। পরে সে তওবা করে। আর যারা মুখতারের বিপক্ষে যুদ্ধ করছে তাদের দলে যোগ দেয়। <br />
<br />
সাবাছের গল্প থেকে আমরা কী শিক্ষা পাই? <br />
আমরা বুঝতে পারি, কেউ নিজেকে যদি বারবার ফিতনার কাছে নিয়ে যায়, তবে প্রতিবারই সে বড় রকমের ভুল করে ফেলতে পারে। নিজের ঈমানকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে। <br />
<br />
শেষ সময়ে মানবজাতি যে ফিতনার সম্মুখীন হবে সেটির কথা বলতে গিয়ে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,<br />
<b><br />
مَنْ تَشَرَّفَ لَهَا تَسْتَشْرِفْهُ، فَمَنْ وَجَدَ مَلْجَأً أَوْ مَعَاذًا، فَلْيَعُذْ بِهِ</b><br />
<br />
“যে ফিতনার দিকে তাকাবে, ফিতনা তাকে পেয়ে বসবে। তখন কেউ যদি কোনো আশ্রয়স্থল কিংবা নিরাপদ জায়গা পায়, তাহলে সে যেন সেখানে আত্মরক্ষা করে।” <br />
<br />
এ কারণেই শুধু ব্যভিচার না, ব্যভিচারের ধারেকাছে যেতেও আল্লাহ তা‘আলা আমাদের নিষেধ করেছেন :<br />
<b><br />
وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا ۖ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا</b><br />
<br />
আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয়ই তা অশ্লীল কাজ ও বাজে পথ।” <br />
<br />
তবে আমাদের কুযুক্তির তো শেষ নেই। কেউ বলতেই পারে :<br />
“আরে! শুধু কৌতূহল থেকে দেখেছি। তেমন কিছু না।”<br />
“আমি তো শুধু সবার মতামতটা জানতে চেয়েছি।”<br />
“এসব না দেখলে, না জানলে সতর্ক হব কীভাবে?”<br />
“আমার নিজের ওপর বিশ্বাস আছে। এসবে আমার সমস্যা হয় না। নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি।”<br />
<br />
আর এরপর কিছু বুঝতে পারার আগেই ফিতনা তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে। সেখান থেকে আর বের হতে দেয় না। সে ডুবে যায় গুনাহের সাগরে।<br />
<br />
আর এখন তো ফিতনায় পা পিছলে যাওয়া যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক সহজ। আমরা চাইলেই এখন যেকোনো জায়গায় চলে যেতে পারি। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে যা ইচ্ছা বলতে পারি। দেখতে পারি। তবে যারা নিজের ঈমান সম্পর্কে সচেতন, নিজের আখিরাত সম্পর্কে সচেতন, তারা রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নসীহার গুরুত্ব বোঝে। ফিতনা থেকে গা বাঁচিয়ে চলে। সেটা হতে পারে :<br />
কোনো ফিতনাযুক্ত অনলাইন ওয়েবসাইট ভিজিট করা। কোনো মুসলিমের স্ক্যান্ডাল ঘাঁটতে যাওয়া। এমন কিছু দেখা যা নিজের ঈমানকে নাড়িয়ে দেয়। <br />
<br />
এমন কিছু সামনে এলেই চোখ বন্ধ করে ফেলুন। দ্রুত সেখান থেকে বের হয়ে যান। ভবিষ্যতে যাতে এমন কিছু সামনে না আসতে পারে সে ব্যবস্থা করুন। ফিতনা থেকে দৌড়ে পালান। জেনে রাখবেন, এসব থেকে দূরে থাকলেই সফল হওয়া যায়। ভালো থাকা যায়।<br />
<br /><b>
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,<br />
<br />
إِنَّ السَّعِيدَ لَمَنْ جُنِّبَ الْفِتَنَ</b><br />
<br />
“যাকে ফিতনা থেকে দূরে রাখা হলো, সে-ই তো সৌভাগ্যবান হলো।” <br />
<br />
নিজের ঈমানকে পরীক্ষায় ফেলবেন না। এ পরীক্ষায় ফেল করলে কিন্তু মহাবিপদ।<br /><div style="text-align: center;"><b>সমাপ্ত</b></div>
<br /><b>
লেখাঃ</b> শিহাব আহমেদ তুহিন (আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)<br />
<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_210216_174838_638.sdoc-->M.Rubelhttp://www.blogger.com/profile/15959321317101471359noreply@blogger.com0