এমন ব্যক্তি হাজারে একজন খুঁজে পাওয়া মুশকিল যে জীবনে একবারও কাউকে ভালোবাসে নি, কারো জন্য না খেয়ে দিন কাঁটায় নি সারারাত সারাদিন তাঁকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেনি। তাঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার ইচ্ছা রাখেনি।
বলতে বাধ্য! বর্তমান সময়ে এটা খুব স্বাভাবিক একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিয়ের আগে অবৈধ সম্পর্ক যেন একটি নীতিতে পরিণত হচ্ছে, স্কুল থেকে কলেজ কলেজ থেকে মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরাও পিছিয়ে নেই এসবে।
অনেকেই এ হারাম কাজটিকে হালাল বানানোর চেষ্টা করে, যেমন- কলে কথা বলে না কিন্তু মেসেজে কথা বলে, বোরকা পরে দেখা করে ইত্যাদি ইত্যাদি, ওয়াল্লাহি মুসলিম ভাই বোনেরা এ হারাম কাজকে কখনো ই হালাল করতে পারবেন না! এক বিয়ে ছাড়া।
যারা এ হারামে লিপ্ত রয়েছে তারা অনেকেই এ থেকে বের হতে চায়, চায় তারা রবের ডাকে সাড়া দিতে, কিন্তু শয়তান কি এতো সহজে কারো পিছ ছেড়ে দেয়া?
যখন আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড থাকে দূরে থাকতে চাইবেন তখন শয়তান আপনার ভিতরে এমন অনুভূতি তৈরি করবে, যে তাকে ছাড়া আপনার কিছু ই ভালো লাগবে না, এমনকি ইবাদতেও মনোযোগি হতে পারবেন না, সালাতে দাঁড়ালে তার কথাই আপনার মাথায় ঘুরতে থাকবে, অনেকেই আবার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার মত জঘন্য কাজকেও বেছে নেয়, তখন একটি কথাই মাথায় ঘুরে, আমি তাঁকে ছাড়া বাঁচবো না।যারা অলরেডি এ সমস্যায় ভুগছেন তারা খুব ভালো বুঝবেন।
হে মুসলিম ভাই-বোন, যখনি আপনার ভিতর এমন অনুভূতি তৈরি হবে সাথে সাথেই আল্লাহর নিকট শয়তান থেকে আশ্রয় চান।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ ۚ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
"আর যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে আল্লাহর শরণাপন্ন হও তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী"।[সূরা আল আ'রাফ, আয়াত : ২০০]
আল্লাহ তা'আলা কে অধিক স্মরণ করুন কেননা আল্লাহ তা'আলার স্মরণে অন্তর প্রশান্তি লাভ করে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
الَّذِينَ آمَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُمْ بِذِكْرِ اللَّهِ ۗ أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
"যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়"। [সূরা রা'দ, আয়াত : ২৮]
যখন আল্লাহতা'আলার স্মরণে আপনার হৃদয় প্রশান্তি অনুভব করবে তখন আর তাঁকে আপনার মনে হবে না যদিও শয়তান তার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
আল্লাহ তা'আলাকে কিভাবে স্মরণ করবেন?
• আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনার মাধ্যমে। [৩:১৩৫]
• তাসবীহ পাঠের মাধ্যমে। [৩৩:৪২]
• সালাত আদায়ের মাধ্যমে। [৪:১০৩]
• আল্লাহর নেয়ামতসমূহ স্মরণের মাধ্যমে।[৩৩:৯]
• ওয়াজ নসিহত বা উপদেশের মাধ্যমে। [৮৮:২১]
• কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। [১৫:৯]
যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে করে ফেলুন এ যুগে এ ফিতনা থেকে বাঁচার শ্রেষ্ঠ উপায় এটাই, কুরআনুল কারীমে সামর্থবানদের দ্রুত বিয়ে করার জন্য তাগিদ করা হয়েছে।
আল্লাহ তা'আলা আমাদের এ হারাম থেকে হেফাজত করুন, নিশ্চয়ই আপনি উত্তম হেফাজতকারী। আমিন।
সমাপ্ত
লেখাঃ মুহাম্মাদ ওমর ইবনে আব্দুল কাদির (আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)
আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক ইন শা আল্লাহ ’ লেখাটি শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে!
0 Comments