মাহে রমজান ২০২০, হিজরী ১৪৪১, সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী (পিডিএফ ফাইল+ছবি আকারে)

মহা পবিত্র বরকতময় সিয়াম সাধনার রমজান মাসের রোজার সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্যে এখানে প্রকাশিত হয়েছে। ২৪শে এপ্রিল সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে। ২৫শে এপ্রিল থেকে ১৪৪১ হিজরীর পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে, এক্ষেত্রে ২৪শে এপ্রিল দিবাগত রাতে বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে সেহরী খেয়ে রোজা শুরু করতে হবে।

অবশ্যই চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাস ও রোজা শুরু হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে সাবান মাস ২৯ দিনে শেষ হওয়ায় ২৫ তারিখ থেকেই রমজান মাস শুরু হয় এক্ষেত্রে ২৪ তারিখ দিবাগত রাতেই সেহরী খেতে হচ্ছে এবং আমরা সেহরি-ইফতার সূচীটি সংশোধন করে প্রকাশ করেছি। আর সাবান মাস ত্রিশ দিন পূর্ন হলে মাহে রমজান শুরু হত ২৬শে এপ্রিল ২০২০ থেকে।

মাহে রমজান ২০২০, হিজরী ১৪৪১, সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী


দেশের সকল জেলার অধিবাসীগনই ঢাকা জেলার সময়ের সাথে তাদের জেলার উল্লেখিত সময় সামঞ্জস্য করে এই সূচী অনুসরণ করতে পারবেন।

আরবী/হিজরি বছর একটি চন্দ্র বর্ষ যা ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহামানব মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) তাঁর জন্মস্থান মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত (সফর) করার সময় থেকে মুসলমানগন গণনা করে আসছে। আর হিজরি বছরের ৯ম মাস মাহে রমজান যা মুসলমানদের জন্যে রহমত, বরকত ও নাজত লাভের এক মহাপবিত্র মাস। রমজান মাসের পুরো মাস ব্যাপি মুসলমানগন সিয়াম পালন করে থাকেন ও সবসময় আল্লাহর ইবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। এই মাসে আল্লাহর ইবাদত করলে অন্য যে কোন মাসের তুলনায় বেশি নেকী পাওয়া যায়।

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কতৃক প্রকাশিত সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী অনুসুরন করে আপনাদের জন্যে একটি চমৎকার রোজার ক্যালেন্ডার সংগ্রহ করেছি। ক্যালেন্ডারটি আপনি নিচের ডাউনলোড (সংযুক্তি) থেকে পিডিএফ বা ছবি আকারে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে বা আপনার স্মার্ট ফোনে রেখে অনুসরন করতে পারেন এবং শেয়ার করতে পারেন আপনার পরিচিত জনদেরকেও।

আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাস শুরু হবে এবং শেষ হবে। সতর্কতার জন্যে সূর্যাস্তের তিন মিনিট পর ইফতার ও মাগরিবের আযানের সময় নির্ধারন করা হয়েছে এবং একই ভাবে সতর্কতার জন্যে সুবহি সাদিকের তিন মিনিট আগে সেহরির শেষ সময় নির্ধারন করা হয়েছে আর ফজরের আযান দিতে হবে সুবহি সাদিকের তিন মিনিট পর অর্থাৎ সেহরির শেষ সময়ে ছয় মিনিট পর ফজরের আযান দিতে হবে।
ঢাকা জেলার বাইরে বসবাসরত রোজাদারগন অবশ্যই সেখানকার সেহরী ও ইফতারের স্থানীয় সময় অনুযায়ী সেহরী ও ইফতার গ্রহন করবেন। এই সেহরি-ইফতার সূচীতে দেয়া আছে কোন জেলার লোকজন ঢাকা জেলার কত মিনিট আগে বা পরে সেহরি-ইফতার পানাহার করবেন।



আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক ইন শা আল্লাহ ’ লেখাটি শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে!

Post a Comment

0 Comments