অবশ্যই চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাস ও রোজা শুরু হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে সাবান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ২৩শে মার্চ তারিখ থেকে রমজান মাস শুরু হত, এক্ষেত্রে ২২শে মার্চ তারিখ দিবাগত রাতেই সেহরী খেতে হত এবং আমরা মাহে রমজান শুরু সাপেক্ষে সেহরি-ইফতার সূচীটি সংশোধন করে প্রকাশ করেছি। সাবান মাস ত্রিশ দিন পূর্ন হওয়ায় ২৪শে মার্চ থেকে রোজা শুরু হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী সূচী সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশের সকল জেলার অধিবাসীগনই ঢাকা জেলার সময়ের সাথে তাদের জেলার উল্লেখিত সময় সামঞ্জস্য করে এই সূচী অনুসরণ করতে পারবেন।
খতমে তারাবীহ’র নির্দেশনা:
বেশ কয়েক বছর ধরে দেশব্যাপী একই নিয়মে তারাবীহ আদায় করা হচ্ছে। তবে লক্ষ্য করা গেছে এখনো কিছু কিছু মসজিদে নিজেদের মত করে খতমে তারাবীহ’র নামাজ আদায় করা হয়। বিভিন্ন মসজিদে একই নিয়মে পবিত্র কুরআনের নির্দ্দিষ্ট পাঠ করা না হলে ভ্রমনকারী, রোজার মাসে যারা স্কুল, কলেজ, কর্মস্থল থেকে ছুটিতে এক জায়গা থেকে অন্যত্র গমন করেন তারা অনেক সময় ধারাবাহিক ভাবে কুরআনের খতম থেকে বঞ্চিত হন এবং কুরআন খতমের সওয়ার থেকেও বঞ্চিত হন। এই সমস্যা সমাধানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সারা দেশে একই নিয়মে খতমে তারাবীহ পড়ার নির্দেশনা প্রদান করেছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী মাহে রমজানের প্রথম ৬ দিনে পবিত্র কুরআনের দেড় পারা করে ৯ পারা পড়তে হবে এবং পরবর্তি ২১ দিন প্রতিদিন এক পারা করে ২১ পারা পড়তে হবে। এতে ২৭তম তারাবীহ’তে পবিত্র কুরআন খতম সম্পন্ন হবে।
দেশের সকল মসজিদে একই নিয়মে কুরআন পাঠ করা হলে দেশে যে কোন স্থানে গমনকারীগনও কুরআন খতম ও তার সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবেন না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত মাহে রমজানের মূল সময়সূচীটিও আপনাদের জন্যে এখানে শেয়ার করছি। সবগুলি ফাইলই নিচের এটাচমেন্ট হতে পিডিএফ আকারে ডাওনলোড করতে পারবেন এবং প্রিন্ট করে নিজ এলাকায় বিতরন করতে পারবেন।
আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাস শুরু হবে এবং শেষ হবে। সতর্কতার জন্যে সূর্যাস্তের তিন মিনিট পর ইফতার ও মাগরিবের আযানের সময় নির্ধারন করা হয়েছে এবং একই ভাবে সতর্কতার জন্যে সুবহি সাদিকের তিন মিনিট আগে সেহরির শেষ সময় নির্ধারন করা হয়েছে আর ফজরের আযান দিতে হবে সুবহি সাদিকের তিন মিনিট পর অর্থাৎ সেহরির শেষ সময়ে ছয় মিনিট পর ফজরের আযান দিতে হবে।
ঢাকা জেলার বাইরে বসবাসরত রোজাদারগন অবশ্যই সেখানকার সেহরী ও ইফতারের স্থানীয় সময় অনুযায়ী সেহরী ও ইফতার গ্রহন করবেন। এই সেহরি-ইফতার সূচীতে দেয়া আছে কোন জেলার লোকজন ঢাকা জেলার কত মিনিট আগে বা পরে সেহরি-ইফতার পানাহার করবেন।