-->

তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে

 সূরা বনী ঈসরাঈলে মহান আল্লাহ বলছেন, "তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।"

আয়াতটি পড়লেই আমরা বুঝতে পারি আমাদের জানার পরিধি নিতান্তই কম। এরপরও সামান্য এক রোবট আবিষ্কার করেই আমরা বলি 'বাহ! কি চমৎকার ডিজাইন! কি অসাধারণ জ্ঞান!

কিন্তু আসলেই কি আমরা খুব বেশি জানি?

বলা হয়ে থাকে মানুষ মহাবিশ্বের প্রায় ০.১ % জানতে পেরেছে, আদৌ কি আমরা ঠিক ততটুকুও জানি যতটুকু দাবি করা হয়।

পিঁপড়ার কথাই ধরুন না! এদের চিন্তা চেতনায় মহান রব কত নিখুঁত ভাবেই তাদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন জীবন চলার জন্য যা আমাদেরকে সৃষ্টি জগতের রহস্য নিয়ে ভাবতে উৎসাহিত করে।

কি আশ্চর্যজনক ঘটনা!

বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন যে, পিঁপড়ারা শীতের জন্য প্রয়োজনীয় শস্য ও বীজ সংগ্রহ করার পর তাদের বাসস্থানে সংরক্ষণ করার ঠিক আগে, সেই বীজগুলোর প্রত্যেকটিকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলে, যাতে ওগুলো বৃষ্টির পানির সংস্পর্শে আসলেও অঙ্কুরোদগম না হয় এবং খাওয়ার উপযোগী থাকে!

কিন্তু বিজ্ঞানীরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন যখন তারা দেখলেন, পিঁপড়ার বাসায় সংরক্ষিত প্রতিটি ধনিয়ার বীজ দুই টুকরার পরিবর্তে চার টুকরায় বিভক্ত করা। গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, একটি ধনিয়ার বীজ দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ার পরেও অঙ্কুরিত হবে, তবে এটি চার ভাগে বিভক্ত হলে আর অঙ্কুরিত হবে না!

প্রশ্ন হলো, এই ক্ষুদ্র প্রাণীরা কীভাবে এতসব জানে?

সবই আসলে মহান সৃষ্টিকর্তার দান। আমরা মানুষেরা সবজান্তা নই, অন্যান্য প্রাণীদের কাছ থেকে আমাদেরও অনেক কিছু শেখার আছে!

আর এভাবেই আমরা বুঝতে পারি, মহান আল্লাহ আমাদেরকেও সৃষ্টি করেছেন প্রয়োজনীয় জ্ঞান সহকারেই যা আমাদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

সৃষ্টি জগতের প্রতিটি জিনিসই তাঁর মুখাপেক্ষী। তবে আমরা কেন নির্দ্ধিধায় তাঁর উপাসনা করব না?


পোস্ট রেটিং করুন

আরও নতুন পোষ্ট পরবর্তী পোষ্ট

সম্পর্কিত পোস্টসমূহ

Facebook